কবে ফিরব ক্যাম্পাসে
হাবিবুর রহমান হাবিব
🕐 ১২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২০
বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রতিটি শিক্ষার্থীর আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা। যেখানে প্রতিনিয়ত লালিত হয় হাজারো স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সবচেয়ে বেশি আনন্দময় মুহূর্ত হল ক্যাম্পাসে কাটানো মুহূর্তগুলো। কিন্তু অবাধ স্বাধীনতাময় এই ক্যাম্পাস জীবনের আড্ডা থেকে অর্জন করা যায় অনেক কিছু। কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে করোনার মহাআতঙ্ক। যার কারণে হাজারো স্বপ্নবাজ আজ গৃহবন্দী দিন যাপন করছে। আজ এই গৃহবন্দীতেও তারা প্রতিনিয়ত চিরচেনা ক্যাম্পাসকে মিস করতেছে।
পঞ্চাশ একরের ভালবাসা যেন এক অমায়িক ভালবাসা। যার প্রতিটি পানে ছুটে চলে হাজারো স্বপ্ন। লাল পাহাড়ের সবুজ অরণ্যে ভরপুর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। লাল পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ছোট বড় বেশ কয়টি ভবন। শূন্য আকাশ থেকে পাখির চোখে দেখলে মনে হবে সবুজের মাঝে সাদা বক দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটা। যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাখেলা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
সবে মাত্র পঞ্চাশ একরের ছোট্ট একটি ক্যাম্পাস, ইহা যেন লালমাটির সবুজের সমারোহ। লালমাটির আভায় লালায়িত হাজারো স্বপ্নবাজ ক্যাম্পাস ছেড়েছি বহুদিন। কিন্তু তাদের মাঝে এখন আর ক্লাস, প্রেজেন্টশন, টার্ম পেপার, অ্যাসাইনমেন্টের জন্য স্যার ম্যামদের বকুনি শুনতে হয়না। তাদের এখন আর কবে ছুটির দিন আসবে সে অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়না। কিন্তু করোনা সেই ছুটিকে করে তুলেছে বিরক্তিকর। পঞ্চাশ একরের ভালোবাসা ছেড়ে এতদূরে থাকতে থাকতে যেন দম বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। যার ধুলিকণা আপন করে নিয়েছে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নবাজদের স্বপ্ন।
লালমাটির ক্যাম্পাসে ফিরলে ফিরে পাব নিঃশ্বাস। এই গন্তব্যহীন ছুটির পরিসমাপ্তি ঘটুক, হারিয়ে যেতে চাই লালমাটির সবুজ অরণ্যে। ততদিন ভালবাসায় পূর্ণ থাকুক পঞ্চশ একরের ভালবাসার কুড়েঁঘর। লাল নীল বাসের সাথে প্রেম। আর এই প্রেমের রসদ জোগায় অজস্র কাশফুলের সুবাস ও কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ। এই পূর্ণতা ফিরিয়ে দেয় কাঁঠাল তলা, বাবুই চত্বর, মুক্তমঞ্চ, স্যানসেট ভ্যালি, প্রেম সেতু, লালন চত্বর ও কেন্দীয় শহীদ মিনারের ছায়া আর অপরূপ সৌন্দর্য। অমায়িক সৌন্দর্য স্বপ্ন দেখায় নতুন পৃথিবী গড়ার।
বাংলা বিভাগের এক স্বপ্নবাজ মোহাম্মদ শরীফ মিয়া তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছেদ হলাম দীর্ঘদিন। এইরকম দীর্ঘসময় প্রিয় ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান আর কখনও হয়নি। অবশ্য কি আর করার বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। তাই বলে প্রিয় ক্যাম্পাসের স্মৃতি মনে পড়বে না তা কি হয়? অনেক স্মৃতিই এখনও চোখে জ্বল জ্বল করে ভাসছে।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে হল থেকে দৌড়ে গিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া, ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুদের নিয়ে বাবুই চত্বরে বসে আড্ডা দেওয়া, বাদামওয়ালা মামাদের থেকে বাদাম কিনে বন্ধুরা মিলে শেয়ার করে আড্ডা দিতে দিতে খাওয়া, কখনও বা মামা হোটেলে বসে চায়ের আড্ডা সবকিছু নিয়ে কতই না স্মৃতি যা অবিস্মরণীয়’।
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228