ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

ঐতিহ্য ও গৌরবের ১৫ বছর

এগারোজন ডেস্ক
🕐 ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০

ঐতিহ্য ও গৌরবের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ২০০৫ সালে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বীকৃতি পায় দেশের অন্যতম প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠ। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সাফল্যের ১৫ বছর পূর্ণ করে ১৬ বছরে পদার্পণ করছে জবি। পাশাপাশি ১৬৩ বছরে পা দিচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ২০ অক্টোবরকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গৌরব ও সাফল্যের ১৫ বছরে ক্যাম্পাসের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাবনা, অনুভূতি ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।

মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক
দ্বিতীয় বর্ষ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অপার সম্ভাবনাময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ভালবাসা আর আবেগের নাম। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাণপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির জন্মদিনে শিক্ষার্থীদের মনে আলাদা উন্মাদনা কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য অনেক আনন্দের দিন হলেও করোনা কেড়ে নিয়েছে শিক্ষার্থীদের মনের সেই প্রফুল্লতা। তবে এবারের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষন দীর্ঘদিনের অনাবাসিক তকমা দূর করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ এর উদ্বোধন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনের বিশ্ববিদ্যালয়ের হক এক কাঙ্খিত স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন শিক্ষার্থীদের মনে আনন্দের জোয়ার এনে দিয়েছে। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে জবিয়ানরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনুক সন্মান। সেই সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গন হিসেবে আবিষ্কার করুক বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই প্রত্যাশা রইলো।


আসাদুজ্জামান সিফাত
প্রথম বর্ষ, পরিসংখ্যান বিভাগ

ক্রমবর্ধমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। হাটিহাটি পা পা করে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৬ তম বর্ষে পদার্পণ করলো পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। একজন মানুষের জন্মতারিখ বা জন্মদিবস যেমন তাকে অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আলাদা করে তোলে তেমনি একজন ছাত্রকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিবস ততটাই আলাদা করে। তেমনিভাবে প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে স্থবির হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। এর দরুন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই বাসায় অবস্থান করছে। তাই জাঁকজমকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা না গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মিস করছি প্রিয় ক্যাম্পাসকে। আবারও ফিরতে চাই ভালবাসার প্রাণকেন্দ্র প্রিয় ক্যাম্পাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে এবং সকল সমস্যা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি আরো সামনে অগ্রসর হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এই প্রত্যাশা।


অনন্য প্রতীক রাউত
প্রথম বর্ষ, আইন বিভাগ

অগ্রজদের কাছ থেকে নানা আনন্দঘন যেসব দিনগুলোর কথা শুনেছি তার মধ্যে অন্যতম ছিলো ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’। প্রতিবছর ২০ অক্টোবর দিনটি পালন করা নানা উৎসবের আমেজে, নিত্য-নতুন নান্দনিকতায় বা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সঙ্গী করে। প্রকৃতির বৈরীতার দরূণ এবার সেসব কিছুই হবে না পাশাপাশি আমাদের কেও থাকতে হবে মলিন মুখে। ২০০৫ সালের পর সর্বপ্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হবে এমন নিরানন্দের আমেজে। বিগত ১৫ বছরের সময়টা ছিলো না জবির জন্য মোটেই নিরানন্দের। অল্প সময়ের ব্যবধানেই জবি পৌঁছে গিয়েছে সুযোগ্য স্থানে। প্রতিযোগীতামূলক সকল ক্ষেত্রেই চিনিয়েছে নিজেকে। অবকাঠামোগত ও আবাসিক সংকটে পিছিয়ে থেকেও মাত্র একযুগেই পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে। নবনির্মিত ছাত্রীহল সে সংকট অনেকাংশে দূর করলেও খুব স্বাভাবিক ভাবেই রয়ে যাবে ছেলেদের আবাসন সমস্যা। প্রত্যাশা থাকবে সকল বাধা কাটিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে নতুনভাবে প্রাণের জবি এগিয়ে যাবে অনেকদূরে।


তামান্না ইসলাম বৃষ্টি
তৃতীয় বর্ষ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ

প্রাণের বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ বছরে পদার্পণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের আরেকটি অধ্যায়ের সূচনায় অতীতের সকল অপ্রাপ্তি, অপূর্নতা আর বাধা কাটিয়ে সাফল্যের সঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাক ভালোবাসার ‘জবি’। প্রতি বছরের মত উদযাপন দিবসের আয়োজন আড়ম্বরপূর্ণ হচ্ছে না। মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওইদিন জবির একমাত্র ছাত্রী হল, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এই বছর ইচ্ছা থাকা স্বত্তেও আমরা শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পরিস্থিতিতে নেই। করোনার কারণে বিগত বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা ভিন্ন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হলেও আমাদের সবার জন্য আনন্দের বিষয় হচ্ছে ছাত্রীহলের উদ্বোধন। প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে হল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক কাঙ্খিত স্বপ্ন। আশা করি আমাদের সব স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়ন হবে। বর্তমানে আমরা সবাই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিন পার করছি।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper