হাওরে ক্লান্তির অবসান
শামীম শিকদার
🕐 ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে মিঠামইনের দূরত্ব প্রায় দেড়শ কিলোমিটার। অপ্রত্যাশিতভাবেই ভ্রমণের চিন্তা মাথায় আসল। ভ্রমণের জন্য বাইক সবসময় আমাদের সঙ্গী হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। সকাল ৯টায় উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডে আমরা সবাই একত্রিত হলাম।
আমি, কিবরিয়া, তোহা, মাফুজুল, ইয়াসিনসহ পাঁচ বাইকে আমরা নয়জন। সঙ্গে ব্যাগের ভেতর আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। টোক, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, অষ্টগ্রামের সড়কের দু’পাশের সবুজ মনোরম দৃশ্য পেরিয়ে আমরা পৌঁছালাম পাটুলী ফেরিঘাটে। তখন দুপুর ২টা বাজে। নৌকা পেতে আমাদের দেরি হয় তাই মিঠামইন পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। আমরা যখন হাওরের মাঝে সড়কে তখন বিকাল ৪টা বাজে। ফেরিঘাট থেকে আমরা দুপুরের খাবার শেষ করেছিলাম কারণ এখানে খাবারের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
তবে উপভোগ করার মত আছে নয়নাভিরাম চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। চোখে পড়ে বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ। এসব বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে তাকালে ৩০-৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো গ্রাম দেখা যায় না। বাঁধে দাঁড়িয়ে হাওর দেখা সাগর দেখার মতোই উপভোগ্য। এসব বেড়িবাঁধে বর্ষায় হাজার হাজার পর্যটক এসে ভিড় জমায়। হাওরে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। হাতছানি দিয়ে ডাকছে হাওর পাড়ের সাদা কাশবন। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি হিজলগাছ মন কাড়ে যে কারও। পানির নিচ থেকে জেগে ওঠা করচের বন সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সাদা শাপলা। আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাজার হাজার ধবল বকের ওড়াউড়ি। কালিম, জলপিপি, ডাহুক, পানকৌড়ি ও জলময়ূরের অবগাহন দেখলে মোহিত না হওয়ার কোনো উপায় নেই। পরিযায়ী পাখির আগমন হাওরকে আরও আন্দোলিত করে তোলে। নজরে পড়ে বালিহাঁসের ওড়াউড়ি।
সভাপতি, এগারজন
কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, গাজীপুর
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228