ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভালোবাসার গল্প

আমজাদ হোসেন হৃদয়
🕐 ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০

সোহাগ ও লামিসার পরিচয় ফেসবুকে। তাদের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে, একজন একজনের ভালো লাগা, খারাপ লাগা, পছন্দ-অপছন্দ শেয়ার করে। এভাবে তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং সুখে-দুঃখে সব সময় দুজন পাশে থাকবে, কেউ কাউকে ছেড়ে যাবেনা কখনো, এমন আশায় ও অঙ্গিকারে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ে সোহাগ এবং লামিসা। সোহাগ সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ে আর লামিসা প্রথম বর্ষে। তাদের দুষ্ট-মিষ্টি ভালোবাসা এগুতে থাকে সুন্দর কিছু মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে। এভাবে বছর দুয়েক কেটে যাই তাদের ভালোবাসার গল্প।

আজ তৃতীয় বছরে পদার্পন করলো তাদের ভালোবাসা। ততদিনে তাদের ভালোবাসা হয়ে ওঠে আরও গভীর আরও মিষ্টি। সোহাগও অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে পাশাপাশি ছোটখাট চাকরির খুঁজে বেড়ায় সোহাগ। লামিসার পারিবারিক অবস্থা ভালো থাকলেও সোহাগের পারিবারিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। আর এটাই তাদের বন্ধনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মনে মনে ভাবতো সোহাগ। প্রতিদিনের ন্যায় আজও দেখা করে সোহাগ ও লামিসা। কথার এক পর্যায়ে লামিসা মন খারাপ করে বললো- ‘আমাকে না জানিয়ে আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে মা-বাবা।’ সোহাগের মাথায় যেন পাহাড় ভেঙে পড়ে কেননা এমনটি শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলো না সোহাগ।

যদিও এর আগে অনেকবার লামিসার বিয়ের কথা উঠলেও লামিসা বুদ্ধি দিয়ে তা ভেঙে দেয়। কিন্তু এইবার আর তাকে জানানো হয়নি, না জানিয়ে ঠিক করে ফেলা হয় তার বিয়ে এবং লামিসাকে জানিয়ে দেয় আগামী বৃহস্পতিবার তার গাঁয়ে হলুদ এবং শুক্রবার তার বিয়ে। কিন্তু লামিসার একটাই কথা সে তার প্রিয় মানুষটিকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। সোহাগ কোনো কথা বলতে পারলো না লামিসাকে জড়িয়ে ধরে সে কাঁদতে থাকে। সোহাগ লামিসাকে দুদিন অপেক্ষা করতে বলে!

দুদিন পর আবার দেখা সোহাগ ও লামিসার। অনেক কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইয়ের কল্যাণে একটা ছোট-খাটো একটা চাকরি খুঁজে পায়। সোহাগ ও লামিসা কেউ কাউকে ছাড়তে পারবে না তাই দুজন সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে বিয়ে করবে। বন্ধুদের সহযোগিতায় দুজন বিয়ে করে এবং কি ছোট একটা বাসায় থাকতে শুরু করে দুজন।

কষ্ট হলেও ভালোবাসা ভরা সংসার ভালোই চলছিল। এরই মধ্যে আরও ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায় সোহাগ এবং লামিসার পড়ালেখাও চালিয়ে নেয়। লামিসাও পড়ালেখা শেষ করে ভালো একটা চাকরি পেয়ে যায়। প্রথম দিকে মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ না হলেও পরে যোগাযোগ হয় লামিসার। মা-বাবা দু’জনের সুখের সংসার এবং সফল ক্যারিয়ার দেখে খুশি হয়ে তাদের অভিমান ভুলে এবং তাদের ভালোবাসার মহত্ত্ব বুঝতে পেরে তাদের বুকে জড়িয়ে নিতে চায় এবং কি সোহাগের পারিবারিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় বাড়িতে তাদের সম্পর্কের কথা জানাতে কুন্ঠাবোধ করলেও ততদিনে সোহাগের পারিবারিক অবস্থাও ভালো হয়ে যায় সোহাগও বাড়িতে তাদের সম্পর্কের কথা জানাই। সোহাগের মা-বাবাও মেনে নেয়। আর মানবেই না বা কেন তাদের ভালোবাসাটা ছিল সত্যিকারের ভালোবাসা এবং সফল ক্যারিয়ার।

দুই পরিবারের সম্মতিতে ধুমধাম করে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। পরবর্তীতে তাদের ঘর আলো করে আসলো একটা ফুটফুটে সন্তান। টোনা-টুনি ও তাদের সন্তান নিয়ে নিয়ে চলতে থাকলো তাদের ভালোবাসার সংসার। এইভাবে তাদের ভালোবাসা পায় পূর্ণতা এবং রচনা হয় একটা সফল ভালোবাসার গল্প।

সদস্য, এগারজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper