দূরদেশে ঈদ
আফফান ইয়াসিন
🕐 ৩:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৮, ২০১৯
শিপন সওদাগর। ৪ বছরেরও অধিক সময় প্রবাসে অতিবাহিত করছেন। সেই শৈশবেই বাবাকে হারিয়ে বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছেন। ছোট ভাই-বোন আর মায়ের কথা বিবেচনা করে স্কুলের পরিবর্তে ঝালমুড়ি নিয়ে যেতে হয়েছিল গ্রামের বাজারে। পরিবারে একটু সচ্ছলতা আনার লক্ষ্যে ঋণ করেই পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে। নিজ মুখেই বলেছিলেন প্রবাস জীবনে কাটানো ঈদ অভিজ্ঞতার কথা- প্রবাসে ঈদ বলতে নামাজ পড়াকেই বুঝি। ঈদের দিনেও আমাদের কাজ থাকে!
কখনো কখনো ঈদের দিন সারাদিনেও কিছু খেতে পারিনি। প্রবাসে ঈদ মানেদেশের ঈদের স্মৃতিচারণা করা।প্রবাসীদের ঈদ মার্কেট কেমন হয়? প্রবাসে আসার পর ঈদ উপলক্ষে একটি টি-শার্টও কিনি নাই। প্রতিদিন যা খাই, ঈদের দিনেও তাই খেতাম। বাড়িতে ফোন দিলে গরু, মুরগি, পোলাও ইত্যাদি মিথ্যে বলতাম! আবেগ, ইচ্ছে, ক্লান্তি, গ্লানি আর চাপা কষ্ট বুকে রেখেই প্রবাসীদের ঈদ। এবার ঈদে বেতন পেয়ে কি করলেন? গত মাসে বেতন পাইনি। তাই ঋণ করে রমজানে বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয়েছিল। ঈদের বেতন পেয়ে ঋণ পরিশোধ করে বাকিটা বাড়িতে পাঠিয়েছি।
ঈদ নিয়ে প্রবাসীদের অনুভূতি কেমন? প্রবাসীদের তো কোনো ঈদ নেই! শুধু দেশের আত্মীয়স্বজনদের প্রতিনিধিত্ব করছি। যদি বেতন বেশি পাঠাতে পারি তাহলে বাড়িতে ভালো করে ঈদটা করতে পারবে। এটাই আমাদের বড় আনন্দ।
বাড়িতে কবে আসবেন? ভাই, বিদেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে কোরবানি দিয়ে দিয়েছি। বাবা নেই! মা, বোন এবং ভাইকে দেখার ইচ্ছে নিয়ে বারবার দেশে যাওয়ার প্ল্যান করেও বাতিল করে দিচ্ছি। সমস্যা আর ধারদেনা তো চাইলেই একবারে শেষ করতে পারি না! এভাবেই প্রবাসীরা কষ্ট করে বাঙালি মগজ এবং মেধা দিয়ে করে দিচ্ছে বিদেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল। অন্যদিকে নিজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও করছে উন্নতি।
সভাপতি
এগারজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228