প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পকেট থেকে মোবাইল নিয়ে স্যারের সঙ্গে কথা বলে, নেহাতই কোনো কারণ নিয়ে স্যারের কাছে যাওয়া সবারই স্বভাব। স্যার সবাইকে খুব মারে কখনো হাতে কখনো লাঠি দিয়ে; কিন্তু তবু কেন অর্পণ স্যারের প্রতি ছাত্রছাত্রীরা এত উৎসাহী? তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে উনি একজন স্বপ্নবিলাসী মানুষ।

নিজেও স্বপ্ন দেখতেন এবং ছাত্রছাত্রীকেও স্বপ্ন দেখান। স্বপ্ন দেখতে তো কোনো পয়সা-কড়ি প্রয়োজন হয় না। তবু অনেককেই দেখা যায় ক্লাসে রীতিমতো অমনোযোগী। হয়তো হাতে মোবাইল নিয়ে বসে আছে নয়তো অস্বচ্ছ কোনো কল্পনায় অজানা কোনো দেশে চলে গেছে।

ক্লাসে লেকচারের শব্দটি একটু জোরে হলেই হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠে অনেকে ভয়ে আঁতকেও যায়। তবে আর কার কেমন লাগে তা আমি ঠিক ঠাওর না করতে পারলেও আমি এটা বুঝতে পারি যে, আমার এই স্বপ্নের রাজ্যে বিচরণ করতে কোনো বিরক্ত বা ক্লান্তি লাগে না, শুধুই মনে হয় প্রশান্তি। এই তো স্যার কিছু দিন আগে শিক্ষকের কথা বলছিল আমাদের সমাজে তাদের কী ভূমিকা তারা সমাজকে কীভাবে উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেয়।

স্যারের কথা অনেকেই সিদ্ধান্ত নেয় পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষক হবে। এই স্বপ্নকে ঘিরে অনেকদিনই ক্লাসে নিয়মিত পড়াশোনা হয়। কিন্তু স্বপ্নটা যখন একটু পুরনো হয়ে যায় তার সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার গতিও কমে যায়। অনেকটা স্যারের মতো ছাত্রছাত্রীও স্বপ্নবিলাসী হয়ে উঠেছে। স্বপ্নের পিছু ছুটে চালাই ছিল নিত্যদিনের কাজ; তবে তা বাস্তবে নয়, পুরোটাই কল্পনায়। তবে এই আশা লালিত করেই ছুটত যে কল্পনার স্বপ্নগুলো একসময় বাস্তবে রূপলাভ করবে। স্যারের কথাগুলো শুনলে মনে হয় স্বপ্নগুলো কল্পনাতে নয় বাস্তবে পৌঁছে যাচ্ছি তার কাছে। সত্যিই কি স্বপ্ন ছোঁয়া এত সহজ?

সভাপতি, এগারজন, কাপাসিয়া কলেজ