ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাবা

হাবীব আযাদ
🕐 ৪:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

জন্মের পর থেকে প্রতিটি শিশু তার পিতা-মাতার মায়া- মমতা, স্নেহ-ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে। ছোটবেলায় মায়ের কোলে বেড়ে ওঠা শুরু হয়। পরে মায়ের কোল থেকে মাটিতে পা রাখার পর থেকেই বাবার হাত ধরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে হাঁটা শিখতে শুরু করি। জীবনে বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে ধাপে বাবারাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন। গ্রীষ্মকালের কড়া রোদে আকাশের মেঘ কিংবা গাছপালা যেভাবে মানুষকে ছায়া দেয়, ঠিক সেভাবেই জীবনের সবক্ষেত্রে বাবারা সন্তানদের ছায়ার মতো আশ্রয় দেয়।

আমিও সবার মতো মা-বাবার ছায়াতলেই বেড়ে উঠেছি। আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয় বাবার হাত ধরেই। কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কয়েক বছর বাবার কাছ থেকেই শিক্ষা অর্জন করি। যা আমার সহপাঠীদের নিকট আমাকে এগিয়ে রাখে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে না হলেও বাবাই ছিলেন আমার প্রথম শিক্ষক। পরিবারে আমি মেজো সন্তান। তবে অন্যান্য ভাই-বোনদের চেয়ে বাবার কাছে আমার আবদার থাকত সবচেয়ে বেশি। যথাসাধ্য তিনি আমার সব আবদার পূরণ করতেন। কখনো খুব সহজে আমার কোনো দাবি তিনি অপূর্ণ রাখেননি। ছোটবেলা থেকেই একটু দুষ্ট সভাবের ছিলাম।

তাই বাবার শাসন, মাঝে মাঝে বকা, এমনকি অনেক সময় তার হাতে মারও খেয়েছি। তবে সত্য হলো এই যে, সবকিছুর পরও আমার প্রতি তার ভালোবাসা ছিল আকাশচুম্বী। বাবা খুব মৃদু শাসন করতেন, যেন কোনো ভুল পথে পা না বাড়িয়ে অতি দ্রুত এবং খুব সহজেই নিজের ভুল শুধরে নিতে পারি। এভাবে করে আমার ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত যতটুকু পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছি, তাতে সৃষ্টিকর্তার পর সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন আমার বাবা।

পৃথিবীর সব বাবাকে আমি দেখিনি, তবে অনেক বাবাকে দেখেছি, যাদের মাঝে সেরা বাবাদের অন্যতম হলেন আমার বাবা। বাবা তোমার নিকট আমি চিরকৃতজ্ঞ। তোমার এই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে, সারাজীবন তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে যাব। সারাজীবন ঠিক এভাবেই তোমার ছায়াতলে আশ্রয় দিও। পরিশেষে, বাবা তুমি দীর্ঘজীবী হও। সৃষ্টিকর্তার নিকট তোমার সুস্থতা কামনা করছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক
এগারজন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper