ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আমচুরি

হামীম রায়হান
🕐 ৪:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯

এখন আমের মৌসুম। গাছে গাছে পাকা আম। আমের গন্ধে চারদিক ম-ম করছে। এমন দিন আসলে শৈশবের অনেক মজার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আমাদের গ্রামে অনেক আমগাছ। বাড়িতে বাড়িতে আমগাছ। কিন্তু সাদেক চাচার গাছের আম ছিল সবার ব্যতিক্রম। যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনি তার স্বাদ। যে একবার খাবে সে কোনো দিন ভুলতে পারবে না এ আমের কথা। পৃথিবীর কোনো আমই তার আর ভালো লাগবে না।

আম পাকা শুরু হলেই সাদেক চাচা গাছের নিচে পাহারা বসান। সারাদিন পাহারা চলে। তারপরও পাড়ার দুষ্ট ছেলেরা সারাদিন গাছের আশপাশে ঘুরঘুর করত। চাচা দেখলেই দিত দৌড়ানি। কোনোভাবেই আম পাড়া যেত না। আমরা ছিলাম পাড়ার সবচেয়ে দুষ্ট ছেলে। আমাদের দল ছিল দশ জনের। একদিন সবাই বসলাম কীভাবে আম পাড়া যায়। এবার আম যেভাবেই হোক খেতে হবে। নানা ধরনের বিভিন্ন প্রস্তাব আসতে থাকল। বন্ধু জহির বলল, শোন, আমরা গাছের নিচে গিয়ে সবাই গাছে ঢিল ছুড়ব। চাচা যখন আমাদের দৌড়ানি দেবে তখন রাসেল দ্রুত গাছে উঠে যাবে। আম পারা হলে সে কোকিলের মতো সংকেত দেবে, আমরা আবার গিয়ে চাচাকে ডির্স্টাব করব। চাচা দৌড়ালে আবার রাসেল গাছ থেকে নেমে আসবে।

যেই কথা সেই কাজ। চাচা দেখি গাছের নিচে বসে আরাম করে বাতাস খাচ্ছে। আমাদের দেখেই চাচা দিল দৌড়ানি। এ সুযোগে রাসেল উঠে যায় গাছে। আমরা একটু দূরে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি রাসেলের সংকেতের জন্য। এভাবে অনেকক্ষণ কেটে গেল। কী ব্যাপার এখনো সংকেত দিচ্ছে না কেন! আরো অনেকক্ষণ কেটে গেল। আমরা তো বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম।

এবার সবাই আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে সবার চোখ ছানাবড়া অবস্থা! দেখি রাসেল কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে! হাউ মাউ করে কাঁদছে রাসেল। কেঁদে কেঁদে বলছে, আর কোনো দিন আপনার গাছে উঠে আম চুরি করব না। অবস্থা বুঝতে কারও বাকি রইল না। রাসেলের বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে শুনে সবাই আস্তে আস্তে কেটে পড়লাম। পরে জানলাম রাসেল বাবার কাছ থেকেও পিটুনি খেয়েছে। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনো অনেক হাসি পায়!

সভাপতি
এগারজন, পটিয়া

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper