ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নববর্ষের আনন্দ

হামীম রায়হান
🕐 ২:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯

বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৈশাখ বাঙালির মনে উৎসবের রং লাগায়। ব্যস্ত হয়ে পড়ে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। আর পহেলা বৈশাখে সারা দেশে আয়োজিত হয় বিভিন্ন আয়োজন। সারা দেশ যেন উৎসবে মেতে ওঠে। মানুষের ঢল নামে এ উৎসবে। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের মেলায় যায় সুলতানা ও ইমানা। তারা দুজন খুব ভালো বন্ধু।

দুজন ভালো ছবিও আঁকে। তারা মেলায় মানুষের মুখে আলপনা এঁকে দেয়।

এতে তারা ভালো আয়ও করে। গত বছর তারা প্রায় দশ হাজার টাকা আয় করে। এবারও তারা মেলায় যাচ্ছে।

পহেলা বৈশাখের দিন তারা দুজন লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে মেলায় যায়। রং-তুলি নিয়ে তারা বসে পটিয়া মাঠের দক্ষিণ দিকে, মেলার সামনের অংশে। দুজনেই ব্যস্ত। অনেক লোকমুখে আলপনা আঁকছে। ইমানাদের সামনেও প্রচুর লোক। দম ফেলার সময় নেই। ছেলেমেয়ে, জোয়ান, বুড়ো সবাই মুখে আলপনা আকিয়ে নিচ্ছে। তারা জনপ্রতি ২০ টাকা করে নিচ্ছে। হঠাৎ ভিড়ে লক্ষ করি, দুটি দশ বছরের মেয়ে দাঁড়িয়ে তাদের আলপনা করা দেখছে। ইমানা তাদের কাছে ডাকলে সুলতানা জিজ্ঞেস করে, ‘তোমরা আলপনা আঁকবে?’ তারা বলে, না, আমাদের কোনো টাকা নেই। ইমানা বলে, তোমাদের বাড়ি কোথায়? ওই বস্তিতে। আমার নাম রেশমি আর ওর নাম সাবিনা।

তাদের কথাগুলো শুনে সুলতানার মায়া হলো। সে ইমানাকে বলে, ‘আমরা তো সারা দিন অনেককেই আলপনা করে দেই। অনেক টাকা পাই। চল এদের ফ্রি-তে এঁকে দিই।’

ইমানাও সঙ্গে সঙ্গে সুলতানার প্রস্তাবে রাজি হয়। তারা মেয়ে দুটির মুখে খুব সুন্দর করে আলপনা এঁকে দেয়। তারপর ইমানা তার মোবাইলে ছবি তুলে মেয়েগুলোকে দেখায়। ছবি দেখে মেয়েগুলো লজ্জা পেয়ে যায়। এসব দেখে সুলতানা ও ইমানার মন আনন্দে কেঁদে ওঠে। সুলতানা মনে মনে ভাবে, উৎসব তো আনন্দের জন্যই। এর এমন মিষ্টি হাসিগুলোই হতে পারে আনন্দের অন্যতম উপলক্ষ। এত বড় বৈশাখী মেলায় এমন ছোট ছোট আনন্দগুলো ছড়িয়ে যাক সবখানে।

সভাপতি
এগারজন, পটিয়া, চট্টগ্রাম

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper