চৈত্রের দিন
সিয়াম বিন আহমাদ
🕐 ২:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯
ফাগুন শেষ হয়ে চৈত্রও চলে যায়। হৃদয়ে মায়ার প্রলেপে ভাটা পড়ে। যাবার বেলা, যেতেই হবে। বসন্তের এই আনন্দ প্রচ্ছদের ভেতরেও লুকিয়ে ছিল কত শত বেদনার গল্প। স্বার্থপর অতীত দিনের স্মৃতিসমীরে ভেসে এসেছিল প্রিয়জন হারানোর সুর। দখিনা জানালার গ্লাসের ফাঁক গলে হৃদয়ে আঁচড় পড়েছিল বেদনার গন্ধ। স্মৃতিরাও এসে ভিড় জমিয়েছিল হৃদয় নিকুঞ্জে। তাই খুব মনে হয়েছিল স্বার্থপর এ বেলা।
এই চৈত্রবেলাও কাঁপিয়ে মারে ঝিরিঝিরি মায়াটুকু। দুপুরটা গড়িয়ে মাখে বিকাল, এভাবেই এক সময় নেমে পড়ে নিশ্চুপ সাঁঝ। নিশুতি রাতে সন্তর্পণে রঙিন স্বপ্নগুলোর গায়ে নিষ্ঠুরতার পরশ ভরাই। কল্পনাগুলো চৈত্রের অবুঝ কুয়াশা হয়ে লজ্জাবতীর মতো নিজ অবয়বে লুকিয়ে পড়ে।
তবু কেনই যেন এমন নিষ্ঠুর চৈত্রে অবহেলিত ঝরে পড়া পাতার সঙ্গে উড়ে আসে অনুসরণের সুর। এই পোড়া রোদ্দুরে ডুব দিতে ইচ্ছে জাগে আরো গভীরে। খুঁজে পাওয়ার বাঞ্ছা আমাকে তিলে তিলে খায়। আমিও খুঁজি, খুঁজে যাই এক একটি দিন করে বসন্তের প্রতিটি দিন।
ভাবনারা আমায় ডাকে, আমার বড্ড বেশি মনে হয় যেন ফেলে এসেছি সবকিছু; যাতে বাঁধা পড়ে আছে অনড়-অচেতন একটা যন্ত্র বা জীবন। কিংবা চাপা পড়ে আছে এক ফোঁটা নিঃশ্বাস ছাড়ার প্রয়োজনে লেপা ছোট্ট ছোট্ট সোনালি স্বপ্ন।
এই চৈত্রবেলা নিয়তি নিকুচি করে আমার ভেতরটা। অচেনা অজানা গল্পরা ভিজতে থাকে কষ্টের কুয়াশায়। লিখনীটা যেন লোহার মস্তবড় ছাতা, তাই সয়ে যাই আমিও।
তবুও আজ ফিরতি পথে এই চৈত্রবেলা বসন্তঘন গহনে ইচ্ছেঘুড়ির পিছে রং-বেরঙের বেলুনের মতো এ বেলা, অবেলায় একটু উড়তে চায় ক্লান্ত চিত্তটা। বসন্তের আমের মুকুলে, শিউলি, পলাশ, শিমুল ফুলে যেমনি অচেনা নাম না জানা পাখিরা নিমন্ত্রণ ছাড়াই বেড়াতে আসে; আমারও এ বেলা খুব ইচ্ছে করে তোমার সঙ্গে যেতে। নেবে? তুমি দেখো অবুঝ শিশুর মতো চুপটি করে বসে থাকব আমি। তুমি উড়বে ইচ্ছেডানা মেলে। ওবেলায়ও আমার সাধ, স্বপ্নগুলো লুকিয়ে রেখেই দূর থেকে শুধু একটু দেখব তোমার হাসিমুখখানি।
সদস্য
এগারজন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228