‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কার্য
আলী ইউনুস হৃদয়
🕐 ২:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
সাবাস বাংলাদেশ-বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্য। ভাষা আন্দোলন, ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী গৌরবময় সাহসী ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে স্থপতি শিল্পী নিতুন কুণ্ডুর উপস্থাপনায় ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হলে ভাস্কর্যের ফলক উন্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
৪০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে ভাস্কর্যটি অবস্থান করছে। পুরো ভাস্কর্যটি একটি বিশাল বেদির ওপর স্থাপিত। কয়েক ধাপ সিঁড়ি পাড়ি দিয়ে ভাস্কর্যের মূল বেদিতে উঠতে হয়।
ভাস্কর্যের কেন্দ্রীয় অংশে রয়েছে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি। একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা এগিয়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে বাঁ-পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার এক হাতে রাইফেল, অন্য হাত মাথার সামান্য উপরে দৃঢ় মুষ্টিবদ্ধভাবে রয়েছে। তার পরনে লুঙ্গি। তরুণ মুক্তিযোদ্ধার পেশিবহুল দেহ অমিত শক্তির আভাস দিচ্ছে। এই মুক্তিযোদ্ধা সাধারণ গ্রামীণ তরুণের প্রতীক যাঁরা দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ অংশ নিয়েছিলেন। অন্য প্রতিকৃতিতে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দুই হাতে দৃঢ়ভাবে রাইফেল ধরে দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছেন।
এই মুক্তিযোদ্ধার পরনে প্যান্ট। দৌড়ের ভঙ্গিতে রয়েছে গতি, সাহস ও বীরত্বের বিশালতা। এই তরুণ বাংলাদেশের নগরের শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধার প্রতীক। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় অংশই ছিল তরুণ ছাত্রসমাজ। ছাত্র যোদ্ধাদের প্রতীক এই ভাস্কর্য।
সমন্বয়ক, এগারজন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228