‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বুধবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্রকল্পের পরিবর্তে এখন থেকে সব উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয়ে একটি প্রোগ্রাম গ্রহণ করা হয়েছে। এ বৃহৎ কর্মসূচির মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষার সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে মানসম্মত শিক্ষা সবচেয়ে অগ্রাধিকার ইস্যুতে পরিনত হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা জীবনের বাস্তবতা মোকাবিলায় একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, এসইডিপি শিক্ষার মান উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এসইডিপি প্রোগ্রামের আওতায় শিখন-শেখানো পদ্ধতির উন্নয়ন, শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কারিকুলাম উন্নয়ন, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মাধ্যমিক স্তরে উন্নত শিক্ষক ব্যবস্থাপনা, নিয়োগ ও তত্ত্বাবধান, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কারিকুলামের সামঞ্জস্য বিধান, শিক্ষকতার পেশাগত মান উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মাধ্যমিক স্তরের সবগুলো প্রকল্প এ কর্মসুচির (প্রোগ্রাম) অধীনে বাস্তবায়িত হবে। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় সহজ ও অধিকতর কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা পুরোপুরি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ ‘এনরোলমেন্ট’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পুনর্গঠন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। জাতীয় উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এটি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সমর্থন দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। এসইডিপির আওতায় ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল ল্যাব ও লাইব্রেরি তৈরি হবে। বিদ্যালয়সমূহের প্রতিদিনের কার্যক্রম অনলঅইন মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হবে।