ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাবিপ্রবি শিক্ষককে ফেনসিডিল দিতে যেয়ে গার্ড আটক!

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
🕐 ৮:০২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২২

শাবিপ্রবি শিক্ষককে ফেনসিডিল দিতে যেয়ে গার্ড আটক!

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলছে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন। ক্যাম্পাসে এ উত্তেজনার মধ্যেই নতুন একটি ঘটনা চাঞ্চল্যের জন্ম দিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ফেনসিডিল সরবরাহ করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জাহিদুর রহমান নামে এক নিরাপত্তাকর্মী।

সোমবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন টিচার্স ডরমেটরিতে ওই শিক্ষককে ফেনসিডিল দিতে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে হাতে-নাতে আটক করেন।

শিক্ষার্থীরা ছবি দেখালে আটক নিরাপত্তাকর্মী নিশ্চিত করেন ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার। নিরাপত্তাকর্মীর দেওয়া বর্ণনাও ওই শিক্ষকের সঙ্গে মিলে গেছে।

আটক নিরাপত্তা কর্মী জাহিদুর জানান, তিনি তার দায়িত্ব পালনে ক্যাম্পাসে এলে ওই শিক্ষক অসুস্থতার কথা বলে ওষুধ নিয়ে আসতে বলেন তাকে। ওই শিক্ষকের দেখানো এক লোক তার কাছে একটি প্যাকেট দেন।

ওই প্যাকেটে একটি ফেনসিডিলের বোতলসহ চেকিং পয়েন্টে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েন জাহিদুর। এ সময় তার সাথে একটি আইডি কার্ড পাওয়া যায়।

এরপর শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে টিচার্স ডরমেটরিতে ওই শিক্ষকের রুমে নিয়ে যান। তবে ওই শিক্ষককে রুমে পাওয়া যায়নি। আটক গার্ড নিজেকে যমুনা কোম্পানির গার্ড বলে পরিচয় দেন।

শিক্ষার্থীদের হাতে আটক ওই গার্ডকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের উত্তেজনা। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তরের ডেপুটি কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা ফেনসিডিলের বোতলসহ ওই গার্ডকে আটক করেন। বোতলের গায়ে বাংলায় এবং হিন্দি ভাষায় ফেনসিডিল লেখা আছে। পরীক্ষা করে দেখলেই বোঝা যাবে এটা আসলে কী।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের মুঠোফোনে কল দিলেও দুবার তিনি ধরেননি। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গত ৯ এপ্রিল বিভাগের অনলাইন ক্লাস চলাকালে অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের সিগারেট খাওয়ার ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপরে শুরু হয় তার বিরুদ্ধে নানা আলোচনা সমালোচনা।

 
Electronic Paper