ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রশ্নবিদ্ধ সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৮

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করে পুনঃপরীক্ষার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুনঃপরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন কেবল তারাই যারা এর আগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে ভর্তি পরীক্ষায় যে ১৮ হাজার ৪৬৪ জন শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল কেবল তাদের নিয়েই নতুন করে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে তাদের তরফ থেকে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন, যে ১৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের অনেকেই তো প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় লাভবান। তাহলে কেবল উত্তীর্ণদের পরীক্ষার সুযোগ দিলে অসাধু পথে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তারও এর সুবিধাভোগী হবেন। উচিত সব পরীক্ষার্থীকেই নতুন করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া।
জাহাঙ্গীর কবীর নামের অভিভাবক প্রশ্ন করে বলেছেন, এমন ঘটনাও তো ঘটেছে, এক শিক্ষার্থী অন্য ইউনিটে ফেল করেছে আর ‘ঘ’ ইউনিটে চূড়ান্ত কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র পেলে হয় তো যারা ফেল করেছে তারাও পাস করত। এখন প্রশ্নপত্র না পাওয়া কি অকৃতকার্য শিক্ষার্থী অযোগ্যতা? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কোনো ন্যায্যতা নেই।
১৯৯৫ সালে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। সে সময় ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষার্থী ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী মানজারুল ইসলাম শাহিন বলেন, ‘আমাদের সময় তো উত্তীণ-অনুত্তীর্ণ সব পরীক্ষার্থীকেই পুনঃপরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছি। এবং এটাই ন্যায্য। আর এখন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উত্তীর্ণরাই কেবল পুনঃপরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে আর অকৃতকার্যরা সুযোগ পাবে না, তা তো হয় না।’

 
Electronic Paper