ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মাধ্যমিকে বাস্তবায়নের পথে প্রকল্প-পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২১

মাধ্যমিকে বাস্তবায়নের পথে প্রকল্প-পরিকল্পনা

বিদ্যালয় ও মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি, জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি পদ্ধতি উন্নত করতে শিক্ষা খাতে নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পরিকল্পনা। সে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাতে নেওয়া হচ্ছে প্রকল্প। এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ও ধরে রাখাসহ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

দেশের প্রতি উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে এমন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যার নাম পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন্স স্কিম। ৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি। বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগী থেকে সহায়তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সরকারি উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে।

জানা গেছে, পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন্স স্কিমের আওতায় ৬ ধরনের অনুদান ও পুরস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। জেএসসি বা জেডিসি লেভেলে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে শিক্ষার্থী পাবেন ১০ হাজার টাকা। আর এসএসসি পরীক্ষার শিক্ষা সমাপ্তি পুরস্কার হিসেবেও থাকছে একই পুরস্কার। এদিকে এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার। এ ছাড়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে দেওয়া হবে এক লাখ টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, শুধু শিক্ষার্থীই নয়, প্রতি বছর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকার অনুদান। এ ছাড়াও ব্যবস্থাপনা পুরস্কার হিসেবে ইউরোপের স্কুলগুলো পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের। ফলে নিজ বিদ্যালয় উন্নয়নের ধারণা পাবে কমিটির সদস্যরা।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মানসম্মত মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে পাঁচ বছর মেয়াদি সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) গ্রহণ করেছে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর সময়সীমায় বাস্তবায়িত হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ২০ হাজার ৩০০ সাধারণ স্কুল, ৯ হাজার ৪০০ মাদ্রাসা এবং ১১৯০ ভোকেশনাল ইউনিটসহ সাধারণ স্কুলের ৩ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষক ও এককোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী এ সুযোগের আওতায় আসবে।

এসইডিপি এর প্রাক্কলিত খরচ ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৪ জুন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম নামের স্কিমটি পাস হয়। এরপর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে এটি যাত্রা শুরু করে। প্রকল্পে একজন প্রকল্প পরিচালকসহ সাতজন কর্মকর্তা আছেন। এ ছাড়াও আছেন চারজন মেসেঞ্জার, দুজন গাড়িচালক ও দুজন প্রোগ্রামারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারে এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। এর ফলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উপকৃত হবেন। প্রকল্পটি ম্যানুয়ালে পাস হয়েছে। এখন ম্যানুয়ালটি বই আকারে পাস হয়ে আসবে। আশা করছি, ডিসেম্বরে এটি পাস হবে, এবং নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে আমরা মাঠপর্যায়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।

শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রাপ্তি শুরুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, এ প্রকল্পের অর্থায়নের সঙ্গে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক জড়িত। আগে এসব প্রতিষ্ঠান অর্থ দিতো আর কাজ হতো। তবে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। এসব প্রতিষ্ঠান আমাদের বলছে উন্নয়ন সহযোগী। ফলে জিওপির মাধ্যমে এ কাজ হবে। করোনা না থাকলে এত দিনে ১০ মিলিয়ন ডলারের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে যেত।

 
Electronic Paper