মোহনীয় ফুলের সুবাস, হারেক ফলের বৃক্ষরাজি এবং পাখির কলকাকলিতে মুখরিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে গেলে দেখা মিলবে ডালপালা ছড়ানো বিশাল এক কৃষ্ণচূড়ার গাছ। গাছটির শাখায় শাখায় শোভা পাচ্ছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। দেখে মনে হবে লাল-সবুজের অভ্যর্থনা দিতে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি। শুধু প্রধান ফটকই নয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গোলাপ, গাঁদা, জারুল, সূর্যমুখী, হাসনাহেনা, বকুল, ডালিয়া ও বেলিসহ হৃদয়কাড়া হাজারো বাহারি ফুলের সমাহার। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবন, চিকিৎসা কেন্দ্র, উপাচার্যের বাসভবন, খালেদা জিয়া হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, লালন শাহ হল ও টিএসসিসহ গোটা ক্যাম্পাসকে রক্তিম রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সূচনা জানান, ‘শিক্ষা ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। ফুলের মন মাতানো রূপ আর প্রকৃতির স্পর্শতেই শিক্ষা যেন পূর্ণতা লাভ করে। ক্যাম্পাসের প্রকৃতিতে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া নতুনত্ব এনে দেয়। পিচঢালা পথে লাল কৃষ্ণচূড়ার ঝড়ে পড়া পাঁপড়ি দেখে মনে হয় যেন এক পুষ্পশয্যা। ক্যাম্পাসের এ রূপ দেখে মন আনন্দে ভরে ওঠে।’ এছাড়াও ডায়না চত্বরে সবুজ গাছে হলদে রঙের সোনালি ফুল ক্যাম্পাসের শোভা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। সোনালি ফুলের পাপড়ি ছড়ানো নরম সবুজ ঘাসের ওপর ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থীরা গল্প ও আড্ডায় মেতে ওঠে। কেউবা বসে থাকেন বাসের অপেক্ষায়। শুধু কৃষ্ণচূড়া আর সোনালি ফুলেই শেষ নয়, সাথে রয়েছে সবুজ ঘাসে সফেদ রঙের ঘাসফুল। ক্রিকেট মাঠের পশ্চিম দিকে এসব ঘাসে বসে মধুর গোধূলি পার করে শিক্ষার্থীরা।
ডায়না চত্বরে আড্ডারত শিক্ষার্থী সাদেকুল, নাজিফা, মৌ ও তৃপ্তি জানান, ক্যাম্পাসে এসে সুযোগ পেলেই এখানে ছুটে আসি। বন্ধুরা মিলে সবুজের ছায়ায় চলে মজা মাস্তি আর আড্ডা। এ আনন্দ যেন ফুরাবার নয়।’