ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জবিতে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মুজাহিদ বিল্লাহ
🕐 ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২১

জবিতে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সুষ্ঠুভাবে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে রবিবার বিভিন্ন অফিস চালু থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরীক্ষার প্রথম দিনে ১২ টার সময়ে শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টার দিকেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকে। ১০ টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি গেট খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তবে রবিবার সকল ধরণের যান চলাচল করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর ফলে কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছায়।

তবে দেরীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালেও পরীক্ষা দিতে কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল বলেন, পুরান ঢাকা একটি ব্যস্ততম স্থান। এখানে যানজট হওয়াটা স্বাভাবিক। কিছু শিক্ষার্থী যানজটে আটকা পড়ে দেরীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছালে তাদেরও পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এবার প্রথম গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনেকটা কষ্ট, দূর্দশা লাঘব হয়েছে। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসলে শতভাগ দূর্দশা লাঘব হবে।

কেন্দ্র বণ্টনে অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন পাঁচটি কেন্দ্র চয়েজ দিতে বলা হয়েছিল। এর মানে এই না যে তারা আরো ২০ টি দিবেনা। মেরিটের কারণে সবাইকে তো আর সেসব কেন্দ্রে দেওয়া সম্ভব না। মেরিট কম হওয়ায় তাদের অন্য কেন্দ্রে দিতে হয়েছে। কম্পিউটার অটোমেটিকলি তাদের কেন্দ্র সিলেক্ট করেছে। যেহেতু প্রথমবার আমরা এভাবে পরীক্ষা নিচ্ছি সেহেতু কিছু সমস্যা থাকবেই। আমরা শিখছি, শিক্ষার্থীরাও এবার শিখছে। পরবর্তীতে এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে আশা রাখছি।

এতগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পরীক্ষা তারপরেও ছুটির দিনে পরীক্ষা না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা বারবার পরীক্ষা পিছিয়েছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গুচ্ছ, মেডিকেল পিছাতে পিছাতে এমন একটা পর্যায়ে আসছে যে পরীক্ষার সময় পাচ্ছিলাম না। এখন এই সময়টায় পরীক্ষা না নিলে দেখা যেত নভেম্বরে পরীক্ষা নিতে হতো। তো দেরী তো আর করা যায় না। যেহেতু শুক্রবার আগে থেকেই অধিকৃত তাই বাধ্য হয়েই রবিবাররে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

 
Electronic Paper