ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষার্থীদের সাদরে বরণ করে নিল জাবি কর্তৃপক্ষ

জাবি প্রতিনিধি
🕐 ১০:০০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২১

শিক্ষার্থীদের সাদরে বরণ করে নিল জাবি কর্তৃপক্ষ

করোনা মহামারিতে দেড় বছর বন্ধ ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবসিক হল। বন্ধ ছিল ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। অবশেষে সোমবার খুলে দেয়া হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের অনুমতি পান। ফলে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছেন প্রাণের আঙিনায়। হল কর্তৃপক্ষও শিক্ষার্থীদের পেয়ে নবীন আবেশে ফুল, উপহার আর নাস্তা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। আবার করোনার সুরক্ষার জন্য মাস্ক আর সানিটাইজার দিয়েও শিক্ষার্থীদের সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই জাবির ১৬টি হলের ফটকে আগত শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানান হলের দায়িত্বরত শিক্ষকরা। সেখানেই শিক্ষার্থীদের উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। তারপর শরীরের তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদর হলে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে সেখানে শিক্ষার্থীদর অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

আর যারা টিকা নেয়নি তাদের স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসেই অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনার টিকাকেন্দ্র স্থাপন: সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের জন্য করোনার টিকার বিশেষ কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, যাদের এনআইডি আছে প্রাথমিকভাবে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্মনিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

টিকাকেন্দ্রের সমন্বয় করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক এ এ মামুন। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে। টিকাকেন্দ্রে ৬টি বুথে স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বুথগুলো ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। কার্যক্রমের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সাত হাজার টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান।

 

 
Electronic Paper