ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দীর্ঘ ১৮ মাস পর হলে ফিরল ইবি শিক্ষার্থীরা

ইরফান রানা, ইবি প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৯, ২০২১

দীর্ঘ ১৮ মাস পর হলে ফিরল ইবি শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ ১৮ মাস অপেক্ষার পর হলে ফিরেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি হল উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। টিকা গ্রহণের সনদ ও হল কার্ড দেখিয়ে নিজস্ব কক্ষে প্রবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। ফুল, চকলেট, বিস্কুট, মাস্ক, মিষ্টি দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় হল কর্তৃপক্ষ।

ক্যাম্পাস সূত্রে, গত ৪ অক্টোবর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৯ অক্টোবর থেকে হল খোলা ও ২০ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে মেতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভিসি ড. শেখ আব্দুস সালাম। এসময় প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ভিসি কয়েকটি হল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদনি পর নিস্তব্ধ ক্যাম্পাস শিক্ষর্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে। হলে প্রবেশের পূর্বে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ধুলোয় মলিন ডাইনিং, রিডিং রুম, টয়লেট ও বাথরুম পরিষ্কার করা হয়েছে। হলে তোলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হল সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। কয়েকটি হলে বসানো হয়েছে হাত ধোঁয়ার বেসিন। শিক্ষার্থীদের হলে উঠার পর কোন সমস্যা দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি হলে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর হলে ফিরতে পেরে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাজিফা তাসনিম বলেন, দীর্ঘদিন পর হলে উঠতে পেরে ঈদের আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। ঈদের দিনে সবাই একসাথে হলে যেমন আমেজের সৃষ্টি হয় আজকের দিনটাও আমাদের কাছে তেমন মনে হচ্ছে।

সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবু সোহান বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় একঘেয়েমী জীবন কাটাতে হয়েছে। আজ হলে উঠতে পেরে মনে হচ্ছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমাদের দ্রুত হলে উঠানোর জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এতদিন ফুল ছাড়া বাগান ছিল। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আজ আমার বাগানটা পরিপূর্ণ হল।

 

 
Electronic Paper