ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগ

বেরোবিতে শিক্ষিকাকে পরীক্ষা থেকে বিরতি

নাহিদুজ্জামান নাহিদ, বেরোবি
🕐 ৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১

বেরোবিতে শিক্ষিকাকে পরীক্ষা থেকে বিরতি

ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৪-১৫ সেশন) শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফলাফলের নম্বর কম দেওয়ার অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌটুসী রায়কে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে বিরতি থাকার আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১২ ফেব্রুয়াারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী ফোরামের (সিন্ডিকেট) ৭৬তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষিকা বিভাগের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষার ফল প্রকাশ, নিরীক্ষণ, পরীক্ষার হল প্রদর্শন ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কাজে যোগ দিতে পারবেন না। জানা যায়, ৮ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (২০১৪-১৫ সেশন) দ্বিতীয় সেমিস্টারের ৪০২ নম্বর কোর্সের ‘ট্রান্সলেনস স্টাডিজ’ বিষয়ের ৫০ নম্বরের কন্টিনিয়াস ফলাফল প্রকাশ হয়। ফল প্রকাশের পর ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা কোর্স শিক্ষক মোটুসী রায়ের বিরুদ্ধে ‘কম নম্বর দেওয়ার’ অভিযোগ তুলে তার মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে গণআত্মহত্যা ও আন্দোলনের হুমকি দেন।

শিক্ষার্থীদের গণআত্মহত্যার হুমকির পর সেদিন মধ্যরাতে নিরাপত্তা চেয়ে তাজহাট থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন ওই শিক্ষিকা। নম্বর কম দেওয়া ও জিডির পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেন। এতে চার শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে ইতিহাস ও প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীকে আহবায়ক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদ এবং রসায়ন বিভাগের প্রধান তানিয়া তোফাজকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে একাডেমিক কাউন্সিল। তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষিকা মৌটুসী রায়কে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করার সুযোগ চেয়ে করা আবেদেনের বিষয়টিও সুপারিশে উঠে আসে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষক মৌটুসি রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো আসলে প্রমাণিত কিনা এমন কোথাও উল্লেখ নেই। আর প্রমাণিত যদি না হয় তাহলে কিসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো? তদন্ত কমিটি কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে? খাতাগুলো দেখা কিংবা অন্য কোনোভাবেই অভিযোগটা ঠিক কিনা এ বিষয়ে ক্লিয়ার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি তদন্ত কমিটির কোনো চিঠি আমি পাইনি। তদন্ত কমিটির কেউ সরাসরি যোগাযোগ করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাকে ফোন দিয়ে কথা বলেছেন এর বাইরে আর কিছুই না।

উল্লেখিত কোর্সে শিক্ষার্থীদের পুনপরীক্ষা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহসীনা আহসানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

 
Electronic Paper