ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হলচার্জ নিয়ে বিপত্তিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

শাকিল আহমেদ, ঢাকা কলেজ
🕐 ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ০২, ২০২১

হলচার্জ নিয়ে বিপত্তিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

করোনা মহামারীর মধ্যে পরীক্ষা ফি, কলেজে ভর্তি, সেশনচার্জ, হলচার্জসহ মোটা অঙ্কের টাকা চেপেছে শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে। একদিকে হল বন্ধ অন্যদিকে পরীক্ষা আসন্ন। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকা ফিরে উঠতে হচ্ছে মেসে। যার ফলে হঠাৎ করেই সব কিছুর অর্থ জোগান দিতে ব্যাপক বিপাকে পড়েতে হচ্ছে রাজধানীর ঢাকা কলেজের স্নাতক চতুর্থ, তৃতীয় এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।

সেশনজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন ও প্রধান সমন্বয়কারীর সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট ডিন, সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৪ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের অসামপ্ত পরীক্ষা ও ২৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। জানানো হয় ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হবে অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তবে নিয়ম অনুযয়ী পরীক্ষার আগে করতে হবে ফরম পূরণ। আবাসিক সুবিধা ভোগ করা প্রতি শিক্ষার্থীর খরচ প্রায় ১০ হাজার টাকা। এখানেই বিড়ম্বনায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছে, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই অনেকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় পরীক্ষা চালু হওয়ায় এ মুহূর্তে ফরম পূরণের জন্য নির্ধারিত ফি আদায় অযৌক্তিক। যেহেতু গত ১০ মাস কলেজের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে তাই এই মুহূর্তে হল ভাড়া আদায়ের কোনো যুক্তিই দেখছেন না তারা। এ ছাড়াও পরিবহন, চিকিৎসা, লাইব্রেরি অন্যান্য সুবিধা শিক্ষার্থীরা যেহেতু ভোগ করেনি তাই এসব ফি আদায় সম্পূর্র্ণ অযৌক্তিক বলছেন তারা।

তবে এ বিষয়ে কয়েকটি হলের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বিষয়টি অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কমিটি দেখবে বলে মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা। কলেজ প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত বেতন ও অন্যান্য ফি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন বলেন, এগুলো কমানোর কোনো সুযোগ নেই।

 
Electronic Paper