ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাজশাহীতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

রাজশাহী প্রতিনিধি
🕐 ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০

রাজশাহী শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর, শুক্রবার বিকেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার বিকেলে কলেজ হোস্টেল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের শীতের কাপড় আনতে যান। তখন মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ভাই বহিরাগতদের ডেকে এনে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হয় ১০ শিক্ষার্থী। পরে আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় রাতেই শিক্ষার্থীরা বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই মামলায় নগরীর খড়খড়ি এলাকা থেকে মিঠু নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে চন্দ্রিমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ব্রজগোপাল জানান, ছাত্রীরা তাদের হোস্টেলে জামাকাপড় নিতে এসেছিলেন। এটা নিয়ে সেখানে গন্ডগোল হয়েছে বলে তিনি খবর পান। পরে দ্রুত সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। এ ব্যাপারে রাতে শিক্ষার্থীরা থানায় অভিযোগ দেন। পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

এর আগে গত ২ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের অনুমোদনহীন শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কলেজটিতে ভর্তি হওয়া ২২৫ জন শিক্ষার্থীকে মাইগ্রেশন করে অন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা নিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এরপর থেকে কলেজটি বন্ধ ছিল। ২০১৩ সালে বিশেষ শর্তে এই মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা গত ৮ নভেম্বর ক্যাম্পাসে সমাবেশ করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করে। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন শুধু ব্যবসার কারণে এভাবে প্রতারিত না হয় এ ব্যাপারেও তারা সরকারের পদক্ষেপ কামনা করে।

আহত শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হলে শীতের কাপড় আনতে গেলে হামলার শিকার হয়। মারধরে অনেকের শরীরে জখম হয়, রক্ত ঝরে। কারো কারো জামা-কাপড় ছিঁড়ে যায়। এ সময় হামলাকারীদের ছবি তুলতে গেলে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয় এবং তা ভেঙে ফেলা হয়। পরে তাদেরকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 
Electronic Paper