ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরও বাড়বে কিনা বা কোনো কোনো ক্লাসের জন্য সীমিত আকারে চালু হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খুলে দেওয়া যাবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ক্লাস চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

গতকাল ‘করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা’ কার্যক্রম বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এ মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছি। ১৫ তারিখ থেকে খুলবে কি-না, নাকি এই ছুটি আরও বাড়বে নাকি কোনো কোনো ক্লাসের জন্য আমরা সীমিত আকারে শুরু করতে পারব এসব বিষয়গুলো নিয়ে এখনও কাজ করছি। ১৪ তারিখের আগে চেষ্টা করব আপনাদের জানিয়ে দিতে। কারণ ১৪ তারিখের আগে তো আমাদের একটা সিদ্ধান্ত দিতেই হবে। কাল (আজ) বা পরশুর মধ্যে আমাদের একটা সিদ্ধান্ত জানাতেই হবে।’

মন্ত্রী বলেন, সংকটের মধ্যেও আমরা পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পেরেছি, চালিয়ে যাচ্ছি, অবশ্যই এটি আমাদের কোনো আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তার মধ্যে আমরা চেষ্টা করছি। এই চেষ্টাটি চালিয়ে যেতে হবে, এটিকে আরও কত ভালো করা যায়, কারণ করোনা কতদিনে যাবে, কতদিনে সত্যিকার অর্থে আমরা আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খুলে দিতে পারব, সে বিষয়গুলো কিন্তু এখনও বেশি অনিশ্চিত। সামনেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আছে, সেগুলো নিয়েও আমরা বিভিন্নভাবে ভাবছি যে কী করে তাদের পরীক্ষার আগে সিলেবাস পুরোপুরি শেষ করতে পারে, এসব আমরা ভাবছি।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিশ^স্ত সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষতি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের স্কুলে আনা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় এবার সীমিত পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জরিপ 
গতকাল প্রকাশিত ওই জরিপে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের তথ্য সমন্বয় করে উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, মাধ্যমিকে ৪২ শতাংশ, উচ্চ মাধ্যমিকে ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে মোট ৬৩ শতাংশ। আর অংশ নিতে পারেনি ৩৭ শতাংশ। ভিডিওর মাধ্যমে শিক্ষা নিয়েছে ৬১ শতাংশ, অংশ নেয়নি ৩৯ শতাংশ। ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে শিক্ষা নিচ্ছে ৩৫ শতাংশ, নেয়নি ৬৫ শতাংশ। অন্য মাধ্যমে (ইমেইল, হোয়াটসআ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদি) শিক্ষা নিচ্ছে ২১ শতাংশ আর নেয়নি ৭৯ শতাংশ।

ইন্টারনেট ব্যয় ৫০১ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর। ইন্টারনেট ব্যয় ৭০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীর। স্মার্টফোন আছে ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর। স্মার্টফোন নেই ৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর।

 
Electronic Paper