ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফুটপাতের বই বিক্রেতারা মানবেতর জীবনে

শাকিল আহমেদ
🕐 ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২০

বই অতি পরিচিত একটি শব্দ। শব্দটিতে জড়িয়ে আছে শত মানুষের সফলতার একাংশ গল্প। বিজ্ঞরা বলে থাকেন, জীবনে বড় হতে হলে পড়াশোনা করতে হবে। একইভাবে ছোট বেলায় পড়ে এসেছি ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। ফুটপাতে চলতে গেলে প্রায়ই সড়কের পাশে অর্থাৎ ফুটপাতে চোখে পড়ে নানা রকমের বই। অনুপ্রেরণামূলক, সাহিত্যিক, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিক্রি করতে দেখা যায় ফুটপাতের বিক্রেতাদের। এমনই এক চিত্র দেখা মিলে মিরপুর-২ ও মিরপুর-১০-এ। সকাল থেকে রাত অবধি বিক্রি করে থাকেন বই। পাঠকরা পছন্দ অনুযায়ী কিনে থাকেন বই।

নতুন বইয়ের পাশাপাশি বিক্রি হয় পুরাতন বই। পুরাতন বই অনেকাংশে কমে পাওয়া যায়। এতে একদিকে হয় জ্ঞানভা-ার সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি পেট চলে বিক্রেতাদের। বিক্রেতারা অনেকে থাকেন নিজ পরিবার নিয়ে শহরে। তবে করোনা আসার পর থেকে ব্যবসার খুব একটা উন্নতি হয়নি বরং কমেছে। করোনাকালীন দীর্ঘকালীন বন্ধ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বই বিক্রি কমেছে। বই বিক্রি কমায় বিপাকে পড়েছেন এই ফুটপাতের বই বিক্রেতারা। মাস শেষে বাসা ভাড়া, মাসিক বাজারের খরচ, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ সব মিলিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।

বই বিক্রেতা ইকবাল হোসেন জানান, আমি এক যুগের অধিক সময় ধরে বইয়ের ব্যবসা করি। বই বিক্রি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে চলে সংসার। গেল ক’মাস ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। করোনা নামক শব্দটি সব প- করে দিয়েছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে শহরে থাকতাম দুই মাস হলো। এ অবস্থায় তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।

বিক্রেতা আরিফ জানান, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বই খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। আমাদের ক্রেতাদের একাংশ শিক্ষার্থী। করোনার জন্য তারাও বই কিনতে আসছে না। এখন অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে বই পড়ে থাকে। ফলে অনেকটাই বই বিক্রি কমে গেছে।

বই কিনতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাস বাসা থেকে বের হতে পারিনি। এজন্য বইও কিনতে পারিনি। এখন মাস্ক পরে বই কিনতে এসেছি।

 
Electronic Paper