ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এবারও বছরের প্রথম দিনে মিলবে নতুন বই

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

প্রতি বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয় সরকার। সেই লক্ষ্য নিয়ে এবারও কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছর ছন্দপতন ঘটে কোমলমতি এই শিশুদের শিক্ষা জীবনে। গত ১৭ মার্চ থেকে টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ তা খোলা হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার।

এতে করে আগামী শিক্ষাবর্ষ যথাসময়ে শুরু হবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে এই শঙ্কার মধ্যেই বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বছরের প্রথম দিনে শিশুদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এর আগে সকালে সচিবালয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটিতে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ি ও দাখিল স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই সরবরাহের দুটি দর প্রস্তাব। একই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কাগজ ও আর্ট কার্ড ক্রয়ের অপর একটি দর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ি ও দাখিল স্তরের জন্য প্রথম প্রস্তাবে ছয় কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৫৩ টাকা।

প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ৭৫ লটে ৮২টি প্রতিষ্ঠানের ৮২৭টি দরপত্র জমা পড়ে এবং ৮২৪টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। তবে ৭৫টি দরপত্রের সব রেসপনসিভ সর্বনি¤œ দরদাতার উদ্ধৃত দর দাফতরিক প্রাক্কলিত দরের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম হওয়ায় পিপিআর, ২০০৮-এর বিধি ২৭(২) অনুযায়ী দরদাতার কার্যসম্পাদন জামানত ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

একই প্রকল্পের অন্য প্রস্তাবটি হলো ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ি, দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড বই) স্তরের জন্য ১২ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮০টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২১০টি লটে দর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৬ টাকা।

এছাড়া বৈঠকে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ভার্সন), স্তরের বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য ১২ হাজার মেট্রিক টন মুদ্রণ কাগজ এবং এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন আর্ট কার্ড ক্রয়ের দর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৪টি লটের বিপরীতে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৯০ কোটি তিন লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৮ টাকা ব্যয়ে এই কাগজ সংগ্রহ করা হবে। এক হাজার মেট্রিক টন মুদ্রণ কাগজ সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড (কেপিএমএল) থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয় করতে হবে।

 
Electronic Paper