ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কমেছে পাস বেড়েছে জিপিএ-৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:২৫ অপরাহ্ণ, মে ০৬, ২০১৮

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় এবার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। সেই হিসাবে এবার পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫ বেড়েছে ৫ হাজার ৮৬৮ জন।

গতকাল রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের এ সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ দেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী আংশিক ফলাফল প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুপুরে সচিবালয়ে বিস্তারিত ফলাফল দেওয়া হবে।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০টি শিক্ষা বোর্ডের ২০ লাখ ২৬ হাজার ৫১৪ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ১০৪ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯।
আটটি সাধারণ বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীন দাখিলে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫২ জন। পাস করেছে ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৭১ জন। এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডে ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪১৩ জন। কারিগরিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৯ জন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, সারা দেশে এসএসসিতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো ফল করেছে। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ২ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে। আর ১ হাজার ৫৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করেছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ সারা দেশে মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় সারা দেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগওয়ারি ছাত্রছাত্রীদের পাসের হার
এবার ১০ বোর্ডের মধ্যে আটটি সাধারণ বোর্ডে মাধ্যমিকে পাসের হারের দিকে শীর্ষে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ। সারা দেশে সব মিলিয়ে ছাত্রীরা বেশি পাস করলেও রাজশাহীতে ছেলেদের তুলনায় কম পাস করেছে। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ। সেখানে ছাত্রদের ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এখানে ছাত্রদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৯ এবং ছাত্রীদের ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮০ দশমিক ৪০ শতাংশ। এখানেও ছাত্ররা তুলনামূলক বেশি পাস করেছে। এই বোর্ডের ছাত্রদের ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ পাস করলেও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
দিনাজপুর বোর্ডে সামগ্রিকভাবে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। এখানে ছাত্রদের ৭৫ দশমিক ৮১ ও ছাত্রীদের ৭৯ দশমিক ৫১ শতাংশ পাস করেছে।
বরিশাল বোর্ডে পাসে হার ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এখানে ছাত্রদের ৭৫ দশমিক ২৩ এবং ছাত্রীদের ৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ পাস করেছে।
যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬৪। এখানে ছাত্রদের পাসের হার ৭৪ দশমিক ৪৪ হলেও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এখানেও ছাত্রদের পাসের হার সামান্য বেশি। ছাত্রদের ৭৫ দশমিক ৮৬ শতাংশের বিপরীতে ছাত্রীদের ৭৫ দশমিক ১৯ শতাংশ পাস করেছে।
সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ। এখানে ছাত্রদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৩৩ আর ছাত্রীদের ৬৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের ৭১ দশমিক ১২ আর মেয়েদের ৭০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মেয়েদের ৭৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
হার কমলেও মান বেড়েছে : নুরুল ইসলাম নাহিদ
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গতবারের চেয়ে দুই দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ হয়েছে। গতবারও আগের বছরের চেয়ে ফল খারাপ হয়েছিল। এর কারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গতকাল রোববার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আগের চেয়ে উন্নতমানের মূল্যায়ন হয়। আগে হয়তো শিক্ষকেরা ঠিকমতো মনোযোগ দিয়ে উত্তরপত্র দেখতেন না। অনেকে খাতা না দেখেই নম্বর দিয়ে দিতেন। এখন ভালো করে খাতা দেখার ফলে গতবারের মতো এবারও পাসের হার কমেছে।’
‘এখন পুনঃমূল্যায়নে নানা পদ্ধতি রাখা হয়েছে। সব শিক্ষক যেন সমমানে মূল্যায়ন করেন সে জন্য আগে থেকেই দিকনির্দেশনা ঠিক করে পরীক্ষকদের দেওয়া হয়। এর ফলে সারা দেশে সমতা এসেছে। পরীক্ষার খাতাও ভালোভাবে দেখা হয়। তার প্রভাব ফলাফলে পড়তে পারে।’
পাসের হার কমলেও শিক্ষার ‘মান বৃদ্ধি পাচ্ছে’ দাবি করে নাহিদ বলেন, এখন ঝরেপড়ার হারও কমছে। স্কুলমুখী করে তাদের স্কুলে ধরে রাখাই ‘বড় অর্জন’।
এ ছাড়া ফাঁস হওয়া প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আনুমানিক পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর সবাইকেই খুঁজে বের করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এদের সবাইকে আমরা খুঁজে বের করতেছি, কেউই রেহাই পাবেন না। ওই সময় অনেকে ধরা পড়েছে, ১৫৭ জন জেলে আছে, ৩২টি মামলা হয়েছে। পরে আরও শতাধিক গ্রেপ্তার হয়েছে, জেলে আছে। ‘যারা একবার গ্রেপ্তার হয়েছেন, ধরা পড়েছেন তাদের সবার পরীক্ষা, ছাত্রজীবন, শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এতে কোনো সন্দেহ নাই।’
উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি পরীক্ষার ১৭টির মধ্যে ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের ‘খ’ সেটের প্রশ্নফাঁস হয়েছিল বলে সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে। তদন্ত কমিটির ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, পরীক্ষার আগে ওই এমসিকিউ প্রশ্ন পেয়েছে পাঁচ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী। যেহেতু মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখের বেশি এবং যেহেতু সৃজনশীল অংশের কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি সেহেতু কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে যারা পরীক্ষা দিয়েছে, তথ্যপ্রমাণ মিললে তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন নাহিদ।
গত বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ফল বিপর্যয় হলেও এবার এ বোর্ডের ফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। সার্বিকভাবে আট সাধারণ বোর্ডের পাসের হার যেখানে ৭৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, সেখানে কুমিল্লা বোর্ডে পাস করেছে ৮০ দশমিক ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বোর্ডে হঠাৎ কীভাবে এই পরিবর্তন? শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লা বোর্ড গত দুই বছর খারাপ ফল করে। আমাদের তাগিদ ছিল, বোর্ডকে সজাগ করেছি। সব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সেখানে ব্যাপক প্রচেষ্টা নিয়েছি যেন ঘাটতি পূরণ করতে পারে, এখন সমতায় আসছে।’
১ হাজার ৫৭৪ স্কুলে সবাই পাস, ১০৯ প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে ৬৯২টি কমেছে। আর সবাই ফেল করেছে-এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৬টি।
এবারের পরীক্ষায় সারা দেশে এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর ২ হাজার ২৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এ হিসাবে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৯২টি।
ঢাকা বোর্ডে ১৮৪, রাজশাহী বোর্ডে ২০৬, কুমিল্লা বোর্ডের ৭৪, দিনাজপুর বোর্ডের ৮৪, সিলেট বোর্ডের ২৩, যশোর বোর্ডের ৭৩, বরিশাল বোর্ডের ৫০ এবং চট্টগ্রাম বোর্ডের ২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডের ৭৫৭টি এবং কারিগরি বোর্ডের ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছর ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। এবার মোট ১০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। সেই হিসেবে এবার শতভাগ ফেলের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৬টি। দিনাজপুর বোর্ডে ৫টি, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে তিনটি করে এবং রাজশাহী ও যশোর বোর্ডে একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি-এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বোর্ডে নেই। মাদ্রাসা বোর্ডের ৯৬টি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এবার ফেল করেছে। তবে কারিগরি বোর্ডে এরকম কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই।
পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ফাইভ
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষার্থীদের পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে এবার জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
এবার জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন, যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন বেশি।
ফল বিপর্যয়ে তিন কারণ
মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় গত ৯ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে। তিন কারণে এবার ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এগুলো হলো, পরীক্ষার খাতা দেখায় কড়াকড়ি আরোপ, মানবিক বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের অকৃতকার্য হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি, আর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে গড়ে খারাপ ফল।
এবারের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৩.০৭ শতাংশ, গত বছর ছিল ৯৩. ৩৫ শতাংশ। মানবিক বিভাগে এবার পাসের হার ছিল ৬৯ শতাংশ, গত বছর ছিল ৭৩.৩৮ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষায় এবার পাসের হার ছিল ৮০.৯১ শতাংশ, গত বছর ছিল ৮০.২১ শতাংশ।
এ বছর সিলেটে সবচেয়ে বেশি খারাপ ফল হয়েছে। বোর্ডটিতে পাসের হার ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮০.২৬ শতাংশ।
গত ৯ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০ সালে পাসের হার ছিল ৭৮.১৯ শতাংশ, ২০১১ সালে ৮২.১৬ শতাংশ, ২০১২ সালে ৮৬.৩২ শতাংশ, ২০১৩ সালে ৮৯.২৮ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৯২.৬৭ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৮৬.৭২ শতাংশ, ২০১৬ সালে ৮৮.৭০ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৮০.৩৫ শতাংশ। যা আগের বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কম। তবে এ বছর ফলাফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। এবার পাসের হার এসে দাঁড়িয়েছে ৭৭.৭৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘সার্বিকভাবে ফলাফল খারাপ হয়েছে। তবে শিক্ষার মান কিন্তু ভালো হচ্ছে। এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলা যাচ্ছে না। এটা বলতে সময় লাগবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব বোর্ডের খাতা কড়াকড়ি করে দেখার বিষয়ে একটা নির্দেশনা ছিল। যে কারণে শিক্ষকরা বাড়তি মনোযোগ দিয়ে খাতা দেখেছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে মানবিকে ফলাফল তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। সিলেটের খারাপ ফলের প্রভাবও সার্বিক ফলাফলে পড়েছে। এছাড়া ইংরেজি ও গণিতে খারাপ ফলাফলও প্রভাব ফেলেছে সার্বিক ফলাফলে।’

 
Electronic Paper