প্রাথমিকের পরীক্ষা ঘরে বসেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১০, ২০২০
প্রাথমিকসহ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ক্লাস চললেও পরীক্ষা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানাল, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দেবে। আর এ পরীক্ষা নেবেন শিক্ষার্থীদের মা-বাবা। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ জানান, শিক্ষকরা করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে প্রশ্ন তৈরি করে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাবেন। বাড়িতে অভিভাবকরা সেই প্রশ্নের আলোকে পরীক্ষা নেবেন।
সম্প্রতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবেÑএমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে। সে কারণে গত সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পরীক্ষা গ্রহণের কোনো নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সব নির্দেশনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে থাকে, নিরাপদে থাকে, সুস্থ থাকে, আনন্দে থাকে, ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠে অংশগ্রহণ ও বাড়ির কাজ সম্পাদন করাসহ লেখাপড়ায় মনোযোগী থাকে, সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও নিরাপদে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, অধিদফতর থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কোন নির্দেশনা দেওয়া না হলেও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা এমন নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিছু কিছু শিক্ষক নেতা অতিউৎসাহী হয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। তারা আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা নিতে শিক্ষকদের পাঠাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে। ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সময় কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হলে তার দায়ভার কী কর্মকর্তারা নেবেন? উল্টোপাল্টা আদেশ-নির্দেশ দিয়ে তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে গতকালের ওই আদেশের মাধ্যমে এ বিভ্রান্তির অবসান ঘটলো।