ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইউজিসিতে ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২০

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অমান্য করে অনলাইনে পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়নের প্রস্তুতি নিয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে দেশের প্রথম সরকারির ১২ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপও সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে ইউজিসিতে অভিযোগ করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন পিইউএসএবি।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে ইউজিসি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে অনেক শিক্ষার্থী সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

‘গত ২২ মার্চ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু করা হলেও অনেক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই। সারাদেশে লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মোবাইলে রিচার্জ ও ইন্টারনেট কেনা সম্ভব হচ্ছে না, অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সমস্যা, ধীরগতির ইন্টারনেট হওয়ায় অনলাইনে ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ের কোর্সগুলোর জন্য ল্যাব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে অনলাইন ক্লাসের পাঠগুলো সংগ্রহ করে বাসায় বসে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এসব সমস্যার পরও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়নসহ নতুন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, এআইইউবি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ইউল্যাব, ইস্টান ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি রয়েছে। তবে ইউআইইউ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমন প্রস্তুতি শুরু করলেও ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা।

অভিযোগে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যেখানে পরিবার নিয়ে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা দেয়া ও নতুন করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি, পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ইউজিসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর বৃহস্পতিবার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় অনলাইনে শুধু ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, দুই দফায় এ বিষয়ে সতকর্তা জারি করার পরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সুবিধার জন্য শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলে এমন অমানবিক কার্যক্রম করছে। অনলাইনে একটি-দুটি কোর্সের পরীক্ষা নেয়া যায়, তবে একটি একাডেমিক কোর্সের সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা নেয়াটা গ্রহণযোগ্য হবে না। যারা ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে এমন কার্যক্রম করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 
Electronic Paper