করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে গত রোববার সকাল ৯টা থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে পাঠদান কার্যক্রম সম্প্রচার শুরু হয়। প্রতিদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত আটটি বিষয়ের শ্রেণি ক্লাস প্রচার করা হচ্ছে।

এর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশনে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক জরুরি সভা করে টেলিভিশন ও একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের কাছে শ্রেণি পাঠের ভিডিও ধারণ কার্যক্রমে যুক্ত হতে নিবন্ধন করতে বলা হয়। সেখানে শতাধিক শিক্ষক নাম নিবন্ধন করলেও ৪০ জন শিক্ষককে নির্বাচন করে ডিপিই। নির্বাচিতদের কাছে রেকর্ডিং করা ভিডিও চাওয়া হলে শিক্ষকরা যে সব ভিডিও পাঠিয়েছেন তা এডিট করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করার মতো নয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেন, অধিদফতরের ওয়েবসাইটে শিক্ষকরা নিবন্ধন করলেও দক্ষ ও সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে তাদের পাঠানো ভিডিও সম্প্রচার করা যাচ্ছে না। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রাথমিকের শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিপিই’র মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। তিনি বলেন, শিক্ষকদের বাসায় তৈরি করা ভিডিও নি¤œমানের হওয়ায় তা এডিটি করে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা যাচ্ছে না।

পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা (শিক্ষকরা) স্টুডিওতে আসতে পারছেন না। আবার তারা ভিডিও তৈরি করে পাঠালেও তা ভালো মানের হচ্ছে না। এ কারণে যে সব শিক্ষকরা কাছাকাছি রয়েছেন, তাদেরকে রেকডিং স্টুডিওতে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ডিপিই’র মহাপরিচালক আরও বলেন, এটি বাস্তবায়নে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি, সব কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে টেলিভিশনে সম্প্রচারের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।