করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মুখে
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২০
আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়েছে মুশকিলে। ওদিকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাস এবং ট্রেন চলাচলও বন্ধ। বন্ধ হতে চলেছে বিমান পরিসেবাও।
এসব ঘটনার মধ্যে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শান্তিনিকেতনের প্রায় শ’খানেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
শান্তিনিকেতনের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্বভারতী বন্ধ হয়ে গেছে, ১৫ এপ্রিলের আগে খুলবে না। আমাদের এখানে থাকার কোনো মানে নেই। এখন, দেশেও কীভাবে ফিরবো, আমরা তা জানি না।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশি পড়াশোনা করেন। তবে সবচেয়ে বেশি রয়েছে শান্তিনিকেতন বা বিশ্বভারতীতে। প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই বিশ্বভারতীর হোস্টেলে থাকেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার নোটিশ পাওয়ার পর বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। হোস্টেল খালি করার নির্দেশ আসার পরে তারা বুঝতে পারছেন না এখন তারা কী করবেন।
বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়তে হবে না। কিন্তু তা নিয়েও রয়েছে অস্পষ্টতা। কারণ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা রয়েছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিভিন্ন হোস্টেলে।
ছেলেদের ৩০০ আসনের একটি হোস্টেলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন তিনজন। এই তিনজন ছাড়া বাকি সব শিক্ষার্থী চলে গেলে ক্যান্টিন চলবে না, থাকবেন না কর্মচারীরাও। তাহলে সেখানে তিনজন বাংলাদেশি কীভাবে থাকবেন- প্রশ্ন করেছেন এক শিক্ষার্থী।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সব বিদেশি শিক্ষার্থীকে একটি হোস্টেলে রাখার ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনও সে বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি। এ কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তারা।