ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাকৃবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন

তদন্ত কমিটিতেই দায়সারা

হাবিবুর রনি, বাকৃবি
🕐 ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিভিন্ন সময়ে মারধরের শিকার হয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিচারহীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

জানা যায়, গত ২০ জানুয়ারি ইভটিজিং করা এবং ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন, ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন ও শামীম রেজা এবং কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাফায়েতুল ইসলাম তন্ময়কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে সাময়িক বহিষ্কারকৃত মোবাশ্বের হোসেন নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়াও গত ২৭ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের টিভিরুমে ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের প্রমাণ পায় প্রশাসন। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়াও গত নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. শাহ আলম মারধর করেন মো. আনসার আলী নামে এক শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়াও গত বছরের ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় মাকসুদুল হক ইমু নামে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর হলের এক কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ অক্টোবরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও মারামারির সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবুল বাশার মিরাজকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও অদ্যাবধি দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং স্বেচ্ছাচারিতায় এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, এসব ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা আছে। আবাসন ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 
Electronic Paper