রুয়েটে বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী
🕐 ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাওয়ার বাই ব্লেণ্ডারস- এর উদ্যোগে বেলা ১১টায় রুয়েট শহীদ মিনার চত্বরে দিনব্যাপি এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। রুয়েট সাংস্কৃতিক ক্লাব অনুরণন এই উৎসবের আয়োজন করে।
এর আগে সকাল ১০টায় রুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি রুয়েটের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে শহীদ সেলিম হলের সামনে দিয়ে ঘুরে শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতি হাসিব আল মুজদাদিদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইফতেখার হোসেন, উপদেষ্টা শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ, রুয়েটের পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ দফতর) প্রফেসর ড. রবিউল আওয়াল এতে যোগ দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি স্বাগত বিশ্বাস। আর উৎসব বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ছিলেন পল্লব চৌধুরী।
দিনব্যাপী এই আয়োজন পিঠাপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। মেলায় স্থান পেয়েছে গোলাপ জামুল, সুজির রস পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই, পাটিসাপটা, পায়েস, পোয়া পিঠা, পাকোয়ান, ভাপা পিঠা, পাস্তা, বকুল পিঠা।
এছাড়া রয়েছে- তিমানজাস ডেজার্ট, শাহী ফিরনি, ক্যারামেল পুডিং, শাহী টুকরা, হোমমেড বিস্কুট, ডাবের পুডিং, চকোলেট পেস্ট্রি, কাপকেক ও মিনি কেক। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠাপুলির সমাহার এবং ঐতিহ্য একত্রিত করার চেষ্টা করা হয়।
মেলায় ছিলো ২০টি স্টল। এর মধ্যে ছিলো গেমিং জোন, অবসর ববুকস, মুড়ির টিন, হযবরল, পাঁচমিশালি, ব্লেণ্ডারস, টিমাঞ্জস কিডেন, ডিজটি ফিউশন, গোলগাপ্পাজ, পিঠাপিঠি, রুয়েটার্স, বান্নি বকস। সবকটি স্টলে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রচুর ক্রেতা একত্রে পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন স্টল আয়োজকরাও।
পিঠা উৎসবে আসা দর্শনার্থী স্বাগত বলেন, মেলা তো নয়, যেন তারুণ্যের মেলা। জনসমাগমই বলে দেয়, বাঙালি পিঠা খেতে কতটা আগ্রহী।
আরেক দর্শনার্থী নিশু বলেন, পিঠা তো আমরা অকেশন ছাড়া খেতে পারি না। শীত এলে তবেই পিঠা খেতে পারি। এই বছর তেমন পিঠা খাওয়া হয়নি। উৎসবে এসে পিঠা খেলাম। ভালো লাগল।
দিনব্যাপী বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব শেষে সন্ধ্যায় মশাল ও ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।