রাবি শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষকদের প্রতিবাদ
রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৮:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগে নতুন নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করায় অধ্যাপক আলী আসগরকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ড. শামসুজ্জোহা চত্বরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সভ্য মানুষের জায়গা। এখানে মত পার্থক্য-দ্বিমত থাকবেই। ক্রপ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগর নিজ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন। উচ্চ আদালত তার রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেই নিয়োগ বাতিল করেছিলো। নানা মহল থেকে হুমকির সম্মুখীন হয়ে অধ্যাপক আসগর থানায় জিডি করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, এ ঘটনা শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি যেন অধ্যাপক খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া তার সদস্য পদ বাতিল করতে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের প্রতি বক্তারা আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্যাহ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোলাইমান চৌধুরী, শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।
এর আগে, ড. শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে একটি মৌন মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অফিসে ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরকে বিভাগের আরেক অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন অভিযুক্ত একই বিভাগের অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম।