খাবার কষ্ট শিক্ষার্থীদের
কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ততম কলেজ ক্যাম্পাস কবি নজরুল সরকারি কলেজ। প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর ১৪৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ কলেজে নেই কোনো ক্যান্টিন। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দিনের অধিকাংশ সময় এ ক্যাম্পাসে থাকতে হয় তাদের। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের জন্য কোনো ক্যান্টিন নেই কলেজে। খাবার খেতে তাদের যেতে হয় কলেজের বাইরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে। তাদের বাধ্য হয়েই নিম্নমানের খাবার খেতে হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে- ফুচকা, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি।
এসব মুখরোচক খাবার নিম্নমানের তেলে ভাজা যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা এসব খাবার খেতে নিষেধ করছেন। কিন্তু উপায় নেই।
কখনও কখনও খাবার গ্রহণ না করেই ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। জানা যায়, কবি নজরুল সরকারি কলেজে অনার্সের পাশাপাশি ইন্টারমিডিয়েটও চালু রয়েছে। অনার্সের শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হওয়ার অনুমতি থাকলেও অনুমতি নেই ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থীদের।
ইন্টারমিডিয়েট ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ জানায়, আমাদের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরেই থাকতে হয়। আমার পরিবার গ্রামে থাকে, ঢাকায় আমি একা। কলেজে আসার সময় কে খাবার বানিয়ে দেবে? কলেজে একটা ক্যান্টিন খুবই প্রয়োজন। কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস শহীদ শামসুল আলম হলে খাবারের তেমন সুব্যবস্থা নেই।
অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার খোলা কাগজকে জানান, কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে ক্যান্টিনের বিষয়ে আমরা দ্রুত সিধান্ত নেব।