জাবি ভিসি অপসারণ দাবি
আচার্যের কাছে চিঠি দেবে দুপক্ষ
জাবি প্রতিনিধি
🕐 ১০:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চালিয়ে গেছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা কানিজ নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেও আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে ফিরে যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরনো প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক জানান, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের চূড়ান্ত পরীক্ষা ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে।
এদিকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যের (রাষ্ট্রপতি) কাছে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখমাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন। তিনি বলেন, আমরা আচার্যকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণের যৌক্তিকতা জানাব। উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে তাকে অবহিত করব।
তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আসেনি। ফলে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করার মতো অবস্থাও সৃষ্টি হয়নি। গতকাল রাজধানীর এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনুষদ ভবনে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে ভিসিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ভিসি ড. ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ভিসিপন্থিদের পক্ষ থেকেও আচার্যের কাছে চিঠি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের অভিযোগ তুলে তার স্বেচ্ছা পদত্যাগে গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় গত বুধবার থেকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনরতদের দাবি অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে জানান।