ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

এক ডাক্তারই ভরসা জবিতে

জবি প্রতিনিধি
🕐 ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯

নানামুখী সমস্যা, সীমাবদ্ধতা আর সংকটে জর্জরিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেডিকেল সেন্টার। ১৯ হাজার শিক্ষার্থী, আট শতাধিক শিক্ষকের জন্য মাত্র একজন চিকিৎসক আর নামমাত্র ব্যবস্থাপনাপত্রেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসা।

জবির নতুন ভবনের নিচতলায় অবস্থিত মেডিকেল সেন্টারে সরেজমিন দেখা যায়, মেডিকেল সেন্টারের মূল কক্ষের এক পাশে রয়েছে রোগীদের জন্য একটি শয্যা, বিপরীত পাশে একজন চিকিৎসক ও তার সহকারীর বসার জায়গা। এ ছাড়াও ওষুধ রাখার জন্য একটি আলমারি ও একটি রেফ্রিজারেটর আছে সেখানেই। আগে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য দুটি কক্ষ থাকলেও নেই চিকিৎসার তেমন কোনো সরঞ্জাম। নেই প্যাথলজিকেল টেস্টের কোনো ব্যবস্থা।

জানা যায়, শুরু সময় থেকে মেডিকেল সেন্টারে দুজন মেডিকেল অফিসার দায়িত্ব পালন করতেন। তবে ২০১০ সাল থেকে একজন মেডিকেল অফিসার দিয়েই চলছে যাবতীয় কার্যক্রম।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় তাদের মেডিকেল সেন্টার থেকে শুধু নামমাত্র ব্যবস্থাপত্র দিয়েই সেবা দিচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসক। মেডিকেল সেন্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে রোগীদের জন্য মূলত ব্যবস্থাপনাপত্র দেওয়া হয়, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষার্থীদের কোনো ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় সেখানে।

পরিসংখ্যান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হৃদয় জানান, সামান্য জ্বরের জন্য মেডিকেল সেন্টারে গেলেও ব্যবস্থাপত্র ও দুটা নাপা দিয়েই অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে বলে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা সেবা নাই পেলাম তাহলে মেডিকেল সেন্টার রাখার দরকার কি?

কিছুদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিত কুমার। তিনি বলেন, ‘আমার প্রায় ২০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে। আমাদের হল না থাকায় প্রতিমাসে বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতে হয়। তার ওপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিতে পারলে অন্তত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা কম হতো।’

মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক মিতা শবনম বলেন, ‘আগে তিনটি রুম ছিল। এখন একটা রুমেই কাজ চালাতে হচ্ছে। তারপর বাজেট বরাদ্দ কম। যদি মেডিকেল সেন্টারের বাজেট বাড়ানো হয় এবং প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতি ক্রয় করা সম্ভব হয় তাহলেই ভালো সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এটা মেডিকেল সেন্টার না, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস হলে সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক হাসপাতাল করা হবে। বর্তমানে একজন চিকিৎসক আছেন, কিছুদিনের মধ্যে আরও একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।’

 
Electronic Paper