ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভিকারুননিসা ৯ মাস পর অধ্যক্ষ পেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

প্রায় নয় মাস পর অধ্যক্ষ পেল রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সবুজবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়াকে প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে।

গত ডিসেম্বরে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সে সময়ের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ অবস্থায় ভর্তি ও অধ্যক্ষ নিয়োগে দুর্নীতির আলোচনার এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলো।

অধ্যক্ষ পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ফওজিয়া বলেন, আমি নিয়োগের বিষয়টি জেনেছি। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার চেষ্টা করব।

গত ডিসেম্বরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ নিয়োগের পরীক্ষায় ১৩ প্রার্থী অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষার অংশে নম্বর ছিল ৩০। লিখিত পরীক্ষায় নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন পান সাড়ে ৩ নম্বর। বাকি দুজনের একজন পান সাড়ে ৭ ও আরেকজন পান ৪ নম্বর। কিন্তু বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভায় লিখিত পরীক্ষায় সাড়ে ৩ নম্বর পাওয়া মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজর একজন শিক্ষককে অধ্যক্ষ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং শিক্ষা সনদের যোগ্যতা মিলিয়ে তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয় বলে পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তাজুল ইসলাম।

তার যুক্তি হলো, প্রচলিত পরীক্ষাপদ্ধতির হিসেবে ৩০ নম্বরের মধ্যে সাড়ে ৩ পেলে পাস নম্বরই হয় না। আবার লিখিত পরীক্ষায় যেভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হওয়া ওই প্রার্থীর কথা মাথায় রেখেই প্রশ্নপত্র করা হয়েছে।

পরে জানা গেছে, ঘুষের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন পরিচালকের স্ত্রী ওই প্রার্থী। নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে তখনই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরে গত ৪ জুলাই অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 
Electronic Paper