তৃতীয় দিনের অনশনে অসুস্থ ৩৫ শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০১৮
টানা তৃতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে কর্মসূচির ১৮ তম দিনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩৫ জন শিক্ষক। তাদেরকে স্যালাইন ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অনশনে অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ায় ৩ জন শিক্ষককে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেলে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টোপাশে রাস্তায় চলমান কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন নামের শিক্ষকদের সংগঠন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এমপিও ভুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এই আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবারের এই কর্মসূচিতে অন্তত কয়েক হাজার শিক্ষক অংশ নিয়েছেন বলে শিক্ষক নেতাদের দাবি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকদের জায়গা দেয়াও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। আন্দোলনে শিক্ষিকারাও যোগ দিয়েছেন।
সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের ১৮ তম দিনে এসে আমাদের ৩৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের তিন জনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। ৭০২ নং ওয়ার্ডের মেঝেতে তারা অবস্থান করছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। কোন প্রতিনিধিও পাঠানো হয়নি। ২০০৬ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ বার আন্দোলনে এসেছি। তবু প্রতিশ্রুতির বাস্তিবায়ন নেই। যে কোন মূল্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।
ঠাকুরগাঁও কে বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও এই শিক্ষক নেতা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা কিভাবে এমপিও ভুক্ত হই তিনি তা দেখে নিতে চেয়েছেন। তার কারণেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে আমাদের জন্য কোন বরাদ্দ নেই।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে দুটি কমিটি করা হলেও সেখানে শিক্ষকদের বয়স ৩৫ এর কথা বলা হয়েছে। অথচ আমাদের কোন কোন শিক্ষকের চাকুরীর বয়সই ১৫ থেকে ২০। আমার বয়সই ৪১। তাহলে আমি কিভাবে এমপিও ভুক্ত হবো? বলেন শফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, এবারের ঈদুল ফিতরের দিনেও নন এমপিও শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তারা বের করেছিলেন ভুখা মিছিল। আর বিভিন্ন ধাপে ধাপে এমপিও ভুক্তির এই আন্দোলন চলছে ২০০৬ সাল থেকে। তবে এখনো ৫ থেকে ৭ হাজার শিক্ষক এমপিও ভুক্তির বাইরে রয়েছেন।