ইবতেদায়ি শিক্ষকদের কপাল খুলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯
দেশের নিবন্ধিত ৪ হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ২১ হাজার শিক্ষককে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে এ সংক্রান্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন ৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও মাদ্রাসা এবং উচ্চস্তরের কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির বিষয়টি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সেগুলোর সঙ্গে ৪ হাজার ৩১২টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার সার-সংক্ষেপও অনুমোদন দিয়েছেন। সার-সংক্ষেপে বলা হয়-স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার আলাদা নীতিমালা ২০১৮ ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে।
যদিও এমপিও নীতিমালায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা অন্তর্ভুক্ত নেই। তবু এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৭১ হাজার ২৮০ টাকা বছরে প্রয়োজন হবে। গত ৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব গত ১২ জুন অনুমোদন দেন। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ জন করে মোট ২১ হাজার ৫৬০ শিক্ষকের কপাল খুলছে। ১৯৮৪ সালে সরকারি এক সিদ্ধান্তে দেশে বেসরকারি বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। ইতোমধ্যে সারা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়।
একই সময়ে অভিন্ন আইনের বলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হলেও তাদের জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। এ দাবিতে বিভিন্ন সময়ে রাজপথে আন্দোলন করেন শিক্ষকরা। ইবেতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক নেতারা জানান, ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা বেতন পেতেন তারা।
এ বছর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কপাল খোলে। তাদের বেতন বেড়ে ১ হাজার টাকা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় তা বাড়িয়ে দেড় হাজার টাকা করা হয়। এরপর তৃতীয় দফায় সহকারী শিক্ষকদের (মৌলভি) সম্মানী ২ হাজার ৩০০ আর প্রধান শিক্ষকদের ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে যায়। স্কুলের মতো মাদ্রাসা জাতীয়করণ এবং বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
গত বছরের এপ্রিল মাসেও জাতীয় প্রেস ক্লাসের সামনে বসে জাতীয়করণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন তারা। বর্তমানে সে আশ্বাস পূরণ হতে চলেছে। এসব প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হলে শিক্ষকরা মাসিক জাতীয় স্কেলের বিভিন্ন গ্রেডে বেতন পাবেন।