বাকৃবিতে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম
বাকৃবি প্রতিনিধি
🕐 ৯:১৪ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০১৯
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অনুষ্ঠিত ওই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণীতে কর্মচারী নিয়োগে ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে দুই দফায় দেড় শতাধিক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রায় তিন সহ¯্রাধিক প্রার্থী আবেদন করেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেন চাকরি প্রার্থীরা। কিছু প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও অনলাইন কপি নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া, কিছু প্রার্থীকে দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, প্রবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় বসতে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাকরি প্রার্থীরা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না প্রবেশপত্রে এমন নির্দেশনা থাকলেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এ নিয়ম মানা হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও প্রার্থীরা পরীক্ষা দেয়। কয়েকজন প্রার্থী পবেশপত্র ছাড়াই পরীক্ষায় দেয়। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পরও কয়েকজন প্রার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
পরীক্ষায় এমন অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক প্রার্থী। কয়েকজন প্রার্থী এমন অনিয়মে নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, পদের বিপরীতে প্রার্থী আগে থেকেই ঠিক করা আছে। সকলের চোখ ওয়াশ করার জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়াই তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়োগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে স্পষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া ছিল। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ছাড়া কাঊকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে উপ উপাচার্য জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ছাড়াও প্রার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন। এ কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে অনেকের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান বলেন, দীর্ঘদিন পর নিয়োগ হওয়ায় অনেকে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।