আগুনের ঝুঁকিতে ঢাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯
আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তবে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন। প্রায় এক বছর ধরে ঢাবির কলাভবনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকলেও সেদিকে লক্ষ্য নেই কারও। এগুলো পরিবর্তনের কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। গত মাসে পুরান ঢাকার চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের পর আগুনের ঝুঁকি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু ঢাবির এ ঝুঁকি নিয়ে কারও যেন মাথাব্যথা নেই।
শিক্ষার্থী সংখ্যায় ঢাবির সবচেয়ে বড় অনুষদ ভবন কলাভবন। এখানে ৩২টি বিষয়ে স্নাতক, স্নাতোকত্তর ও বেশ কয়েকটি বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্সের ক্লাস হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী মিলিয়ে দৈনিক এখানে কয়েক হাজার মানুষের আসা-যাওয়া। সরেজমিন দেখা গেছে, ছয় তলাবিশিষ্ট কলাভবনে প্রায় ৭০-৮০টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা আছে। এগুলোর কোনোটিরও মেয়াদ নেই। গত বছরের জুনে এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রোক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রত্যেকটা ভবন কারও না কারও আন্ডারে থাকে। ভেতরের দেখভালের দায়িত্বও তাদের। আমার দায়িত্ব ভবনের ভেতরে নয়, বাইরে! বিষয়টি আমি জানলাম। এদিকে আগুন লাগলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তাও জানা নেই কলাভবনের কেয়ারটেকারদের।
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু দেলোয়ার হোসেন বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার আপাতত পরিবর্তনের দরকার নেই। এগুলো লাগানোর সময় আমরা ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, সিলিন্ডারগুলো দুই থেকে আড়াই বছর যাবে। তাই মেয়াদ পার হলেও এগুলো পরিবর্তনের কোনও প্রয়োজন নেই। আর আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আপাতত ভাবছি না। পলাশী বাজারের কাছেই ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। তাই আগুনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করি।
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ঢাকতে সিলিন্ডারের কাগজও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে কলাভবনের সামনের দিকের করিডরগুলোর বেশিরভাগ সিলিন্ডারের মেয়াদ লেখার স্থানটির কাগজ ছেড়া। আগুন সচেতনতায় প্রশিক্ষণ বা মহড়া সম্পর্কে কলাভবনের কয়েকজন ছাত্ররা জানান, এমন কোনও কার্যক্রমের কথা তারা কখনই শোনেননি।
তবে প্রোক্টর বলেন, আমাদের ক্যাম্প ফায়ার হয়। তবে কতদিন পর হয় এটা জানা নেই। এগুলো করতে আমাদের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট টিম আছে।