ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার মামলা

ময়মনসিংহ ব্যুরো
🕐 ৮:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কপি রাইট আইনে ১২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন চিত্রশিল্পী হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক।

২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির এ বিধি বহির্ভূতভারে তার আঁকা 'কাজী নজরুল' এর প্রতিকৃতি শিল্পকর্মের অনুমতি না নিয়ে মুদ্রণ করা হয়।

ময়মনসিংহ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রল্ফম্নয়ারি শুনানীর দিন ধার্য করেন। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে চিত্রশিল্পী হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক এ তথ্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১২ সালে আঁকা 'কাজী নজরুল' প্রতিকৃতি চিত্রকর্মটি তার অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যুভেনিরে মূদ্রণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে মুদ্রিত স্যুভেনির প্রথম পৃষ্ঠাসহ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বাণীর প্রতিটি পৃষ্ঠায় মুদ্রিত তার আঁকা 'কাজী নজরুল' এর প্রতিকৃতি শিল্পকর্মটি উল্টোভাবে মুদ্রণ করা হয়েছে। এতে শিল্পীর নামটিও উল্টো হয়ে গেছে। ফলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিসহ সমাবর্তনে অংশগ্রহনকারীদের অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে। এমনকি, প্রকাশনার কোথাও শিল্পীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকারও করা হয়নি। এটি একজন শিল্পীর জন্য মানহানিকর ও অবমাননাকর বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্মব্য করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, একজন শিল্পী শিল্পকর্মের উপরই বেঁচে থাকেন। শিল্পকর্মের মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ শিল্পবর্মই তার সম্পদ। তাই এই শিল্পকর্মের প্রদর্শন, সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল, পুরস্কার, সামাজিক কর্মকাণ্ড ও শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বিবেচনায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপত্তিকর, মানহানিকর, কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের ক্ষতিপূরণ হিসেবে একশ কুড়ি কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পেলে তিনি ওই অর্থ বিদ্যালয়গুলোতে ড্রইং কর্মশালায় ব্যয় করবেন। এসময় তার আইনজীবী মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, লিটন দাশ ও সাদিক রেজা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এইচ এম মোস্টত্মাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগটি তিনি শুনেছেন। তখন তিনি দায়িত্ব ছিলেন না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

 
Electronic Paper