ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডিজিটাল যুগেও এনালগ ইবি

ইবি প্রতিনিধি
🕐 ৪:১৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯

ডিজিটালের যুগেও অন্যালগ পদ্ধতিতে চলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। এনালগ পদ্ধতির কারণে অধিক সময় ব্যয় ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অফিসের ফাইল প্রসেসিং চালু করা হলে সময় ব্যয় ও ভোগান্তি কমবে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

ইংরেজি বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু। গত রোববার তার সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিভাগের দরকারি কোন জিনিষপত্রের প্রয়োজন হলে ফাইলে নিতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হত। পিয়ন পাঠানো ছাড়া নিয়ম মাফিক কোন কাজই করা যেত না। স্বাভাবিক গতিতে কোন কাজ করতে দিলে কোন খবর মিলত না। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকীকরণের পথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসের ফাইল প্রসেসিং আন্তর্জাতিক মানের হওয়া দরকার।’

একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের করতে হলে সব কাজের মধ্যে আর্ন্তজাতিকতার মান নিয়ে আসতে হবে। ফাইল প্রসেসিং পদ্ধতি এনালগের পরিবর্তে ডিজিটাল করলে সময় অপচয় কমবে। অন্যথায় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়া সম্ভব হবে না।’ এস্টেট অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার গোলাম মাহফুজ বলেন, বিনোদন বিলের আবেদনপত্রে ৪০-৫০ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হয়। যা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এ পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিৎ।’

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, অ্যানালগ পদ্ধতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। অনলাইন নির্ভর হলে কাজের সুবিধা হবে। তবে সম্পূর্ণ অনলাইন নির্ভর করতে একটু সময় লাগবে।’

ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা জানায়, বাংলাদেশের সবকিছু ডিজিটাল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম ডিজিটাল হয় না। এক ইয়ারের প্রকাশিত ফলাফল জানতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে তিন মাস ঘুরতে হয়েছে। মাঝে মাঝে কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে। সবকিছু অনলাইন নির্ভর করা হলে ফলাফল জানতে ঝামেলায় পড়তে হবে না।’

অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-হিসাব পরিচালক মিন্টু কুমার বিষ্ণু বলেন,‘আমাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা কম্পিউটার চালনায় অদক্ষ। ফলে ডিজিটালের দিকে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও অফিস কার্যক্রম নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক করার পরিকল্পনা করেছি।’

 
Electronic Paper