ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভূমিগ্রাস ও বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩

ভূমিগ্রাস ও বৃক্ষনিধনের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

মাস্টারপ্ল্যান ব্যতীত অপরিকল্পিত উন্নয়নের নামে ভূমিগ্রাস, বৃক্ষনিধন ও পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, বনভূমি উজাড় করে আইবিএ ভবন নির্মাণ এবং তৃতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

 

বুধবার (৩১ মে) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা নামক স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের "অবিলম্বে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করো, করতে হবে। ‘জনগণের টাকা অপচয় করে উন্নয়ণ চাই না।’ ‘বনভূমি ধ্বংস করে উন্নয়ন চাই না।’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর এ তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৌটুসী জুবাইদা রহমান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকতেই হবে। এর আগেও আমরা ছেলেদের তিনটা হল ও মেয়েদের তিনটা হল নির্মাণের সময় প্রশাসনের অব্যস্থপনা দেখেছি। বিকল্প জায়গা থাকতেও আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে প্রায় ২৫০ শালবৃক্ষ রয়েছে, অনেক প্রাণী রয়েছে সেখানে। এই বনভূমি ধ্বংসে প্রশাসনের যে পাঁয়তারা সেটা আমরা বাস্তবায়ন হতে দিবো না। বিকল্প জায়গায় আইবিএ ভবন হতে পারে।

চলচ্চিত্র আন্দোলন কর্মী ইরফানুল আহসান ইফতি বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কোনো ভবন হতে পারে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই এই অপপরিকল্পানার বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, সারাবিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে তখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। আইবিএ ভবন অবশ্যই প্রয়োজন, তবে সেটা বিকল্প জায়গায় হতে পারে। এখানে প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে উন্নয়ন চালানো হচ্ছে। এখানে একটি মাস্টারপ্ল্যাণ জরুরি। কোনো মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া প্রশাসন কীভাবে এতো বড় একটি প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে? তারা আমাদের ডেকে বারবর আইওয়াশ করেছে। আমাদের এই আন্দোলন বৃহৎ আকার ধারণ করবে।

সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, আমরা অনেক দিন আগে থেকেই মাস্টারপ্ল্যানের দাবি জানিয়ে আসছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভবন অপূর্ণাঙ্গ করে রাখা হয়েছে, এগুলোকে পূর্ণাঙ্গ না করে নতুন ভবন নির্মাণের দিকে প্রশাসনের এতো আগ্রহ কেনো? এরা বারবার অপরাধ করছে, এদিকে সবার নজর রাখা উচিত। সেইসাথে আমরা এই অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের নামে গাছ কাটা হয়েছে, মেয়েদের খেলার মাঠ নির্মাণের নামে করে গাছ কাটা হয়েছে, কিন্তু সেই মাঠের কোনো খবর নাই।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইবিএ ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থানে ‘গাছ কাটা নিষেধ’ লেখা একটি ব্যানার টানানো হয়।

 
Electronic Paper