ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গবিতে ‘শিক্ষাবিদ্যা ও শিক্ষক মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ’

মোঃ বরাতুজ্জামান স্পন্দন, গবি
🕐 ৭:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৩

গবিতে ‘শিক্ষাবিদ্যা ও শিক্ষক মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ’

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) আয়োজনে Experience Sharing workshop on pedagogy & teacher's evaluation অর্থাৎ শিক্ষাবিদ্যা এবং শিক্ষক মূল্যায়ন শীর্ষক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র সভাকক্ষে ৩ দিন ব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। গবির ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ১৫ জন শিক্ষক এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

FAO এর প্রতিনিধিবৃন্দ জানান, এখানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুযোগ দিলে আগামীতে তারা অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের প্রশিক্ষক হিসেবে TOT করতে পারবে। এছাড়া শুধু ভেটেরিনারি অনুষদ নয় কৃষি অনুষদ গুলোতেও এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে তারা।

এনিমেল প্রডাকশন বিভাগের প্রভাষক ডা. মো: কাজী আল নোমান বলেন, প্রশিক্ষকরা যে আন্তরিকতায় ট্রেনিং সম্পন্ন করেছেন তা অবিশ্বাস্য। লার্নি মেথড, মডার্ন টিচিং, ই-লার্নিংসহ সর্বোপরি সবকিছুই একটা ছাত্রকে এসেসমেন্ট করার জন্য একান্ত দরকারি। এগুলো ছাড়া আসলে একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়া সম্ভব না। ডে পারফরম্যান্স বৃদ্ধির জন্য এ ধরণের ট্রেনিং আরোও প্রয়োজন।

ভেটেরিনারির অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের ক্লাসের ফিডব্যাক নিই না। এ কারণে তারা পরীক্ষায় ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে না। আমরা তাদের কতোটুকু শেখাতে পারছি, যে ব্যালান্স পড়াশোনা করানো দরকার তা আমরা কতটুকু করি কিংবা রোল প্লে করার মাধ্যমে আমরা কিভাবে শিক্ষার্থীদের শেখাবো তার সবটুকুই খেয়াল রাখা দরকার।

রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ প্রশিক্ষকদের প্রশংসা করে বলেন, তারা সময় মেইনটেন করে টুলস দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে যা আমার অভিজ্ঞতায় সেরা। শিক্ষকদের রিসার্চের কাজ বাড়ানো উচিত। আইকিউসি নিয়মিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই অনেক বিষয় সহজ হয়ে গিয়েছে।

উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. আবুল হোসেন বলেন, আমাদের একটি রিসার্চ সেল আছে। সেখানে ইউনিভার্সিটির কেউ নেই। যে কয়েকটা সাবজেক্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে আমাদের ১৬ টা বিভাগের নাম সেভাবে নাই। আমি মনে করি রিসার্চের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা একটা সেল প্রয়োজন৷ তাহলে জবাবদিহিতা থাকবে৷

তিনি আরও বলেন, রিসার্চ কখনোই এক জায়গায় করা সম্ভব না। সবার সহযোগিতা দরকার হয়। সব জায়গায় আপনাদের এক্সেস আছে, আপনারা যাবেন। আর নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যা এক্সেস আছে সেগুলো ব্যবহার করবেন। ল্যাব ব্যবহার করবেন।

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন অতিথিরা।

 
Electronic Paper