বশেমুরবিপ্রবির অধিকাংশ শৌচাগার ব্যবহারের অযোগ্য
জহরুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি
🕐 ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের শৌচাগারসমূহ যথাযথ ব্যাবস্থা না নেওয়ায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার ফলে শৌচাগারগুলির অবস্থা একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, ময়লা আবর্জনা জমে আছে ভবনের প্রত্যেকটি শৌচাগারে, মলমূত্রে পুরো শৌচাগার নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে, নেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, কোনো টিস্যুর কিংবা সাবানের ব্যবস্থা। এছাড়াও বেসিনগুলোর আয়না ভাঙ্গাসহ সেগুলোও পড়ে আছে অপরিষ্কার অবস্থায়। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থাতে থাকলেও নিয়মিতভাবে গ্রহণ করা হচ্ছেনা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা।
বিষয়টি নিয়ে ফিসারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান বলেন, শৌচাগারের অধিকাংশ দরজা, কল ও ফ্লাশ নষ্ট। কিছু কল ভালো থাকলেও পর্যাপ্ত পানি থাকে না। যার ফলে একেবারেই ব্যবহার করতে না পেরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ছেলে-মেয়েদের আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও সর্বাক্ষণিক বন্ধ থাকে নারীদের শৌচাগার। ছেলে- মেয়ে উভয়ই একই শৌচাগার ব্যবহারের ফলে পড়ছেন অস্বস্তিকর অবস্থায়।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াংকা বলেন, শৌচাগার অতিরিক্ত নোংরা থাকে এবং অধিকাংশ শৌচাগার তালা মারা থাকে যার দরুণ মেয়েদেরকে বাধ্য হয়ে ছেলেদের শৌচাগার ব্যবহার করতে হয়। যা খুবই বিব্রত কর। এছাড়াও শৌচাগারসমূহের পচিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়াও জরুরি বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
শৌচাগারসমূহ নোংরা ও অধিকাংশ ফ্লোরের নারী শিক্ষার্থীদের শৌচাগার বন্ধ থাকা বিষয়ে অবহিত করলে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সমস্যাটি অবহিত করবো এবং নিজে বিষয়টি তদারকির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
