বেরোবিতে শীতকালীন পিঠা উৎসব
বেরোবি প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠা খাওয়া গ্রাম বাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।
বেরোবির শীতকালীন পিঠা উৎসব আয়োজন কমিটির আহবায়ক উমর ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য ড. সরিফা বলেন, পিঠাপুলি আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। পিঠা উৎসবের মতো দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অতীত ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করার আহবান জানান তিনি।
এসময় আমন্ত্রিত অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। শীতকালীন পিঠা উৎসবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্তত ৩০ টি স্টল বসানো হয়। এ সকল স্টলে রকমারি পিঠার পসরা সাজিয়ে রাখা হয়। এসকল পিঠার মধ্যে পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধপুলি, মালপোয়া, ফুল পিঠা, জামাই পিঠা, বাঁধাকপির পাকোড়া, ঝিনুক পিঠা, রসপুলি উল্লেখযোগ্য।
পিঠা উৎসব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, প্রক্টর গোলাম রব্বানি, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম দপ্তরের পরিচালক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জাকিউর রহমান।
উদ্বোধনের পর থেকেই প্রত্যেকটি স্টলেই ছিল শিক্ষার্থীদের ভিড়। দেশীয় সংস্কৃতিকে ধারণ করা এই পিঠা উৎসবে এসে তারা বিভিন্ন স্বাদের পিঠা উপভোগ করেন। পিঠার স্বাদ উপভোগের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজনও করা হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
