ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাবি চারুকলায় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

আছিয়া খাতুন, রাবি
🕐 ৯:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২

রাবি চারুকলায় বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগে বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্থপতি ময়নুল আবেদীন।

এর আগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন তারা।

পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, চারুকলা আমার ভালো লাগে। এখানে বিভিন্ন শিল্পকর্মে আমরা আমাদের ইতিহাস খুঁজে পাই, আমাদের ঐতিহ্য খুঁজে পাই। আমাদের দরকার একটা শক্ত পাটাতন। আমাদের এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ খুঁজে পায়।

উপাচার্য আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রাচীন ঐতিহ্য পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় আছে। আমাদের এগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গর্ব ধরে রাখতে হবে। এই জায়গায় চারুকলার সকল বিভাগ যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আমাদের ইতিহাস আরো বিনির্মাণ হবে। এসময় তিনি চারুকলা অনুষদের সকল বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রদর্শনীর উদ্বোধক শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের ছেলে স্থপতি ময়নুল আবেদীন বলেন, ভালো শিল্পী হতে হলে ভালো মনের মানুষ হতে হবে। তাহলে মানুষের কাছ থেকে ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবে। এই বিভাগের কাজ দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। বড় কাজ, ছোট কাজ বিষয় না। আজকে এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের কাজ দেখলাম। অনেক ভালো লাগেছে। আশা করি শিক্ষার্থীরা আরো ভালো কাজ করবে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক এবং শিল্পী কাজী গোলাম কিবরীয়া।

আলোচনা সভা শেষে বিভাগের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য দুই ডিসিপ্লিনের প্রতিটি বর্ষের একজন করে শিক্ষার্থীকে শ্রেণি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ও দুই ডিসিপ্লিনের দুইজনকে মাধ্যম শ্রেষ্ঠ শিল্পী আসাদুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার ও শিল্পী বনিজুল হক স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কার প্রদান শেষে উপাচার্য ও উপ উপাচার্যসহ সকল আমন্ত্রিত অতিথিরা ও উপস্থিত শিক্ষকেরা প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ৬১জন শিল্পীর মূর্ত ও বিমূর্ত ধারার মোট ৭১টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলির মধ্যে রয়েছে কাঠ, পাথর, সিমেন্ট ও লোহা নির্মিত ভাস্কর্য, বিভিন্ন ধরণের পোড়ামাটির ফলক, টেরোকোটা, পেন্সিল ও কলমে আঁকা স্কেস, বিভিন্ন ধরণের পটারি, টাইলস্ নির্মিত ম্যুরাল ইত্যাদি।

 

 

 
Electronic Paper