২৮ দিনেও হয়নি মিমাংসা
ক্লাসে ফিরছে না চবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা
আকিজ মাহমুদ, চবি
🕐 ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২
মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি নিয়ে ২৮ দিনের মতো ক্লাস বর্জনের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চারুকলা ইন্সটিটিউটের সামনে বাদশাহ মিয়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় শ্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে অবস্থান অব্যাহত রাখেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, চারুকলা মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের আন্দোলনের ২৮তম দিনে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা চারুকলার মূল ফটকের বাহিরে অবস্থান নিয়েছি।
এর আগে ২ নভেম্বর ২২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এই দাবিগুলো মূল ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহরস্থ ক্যাম্পাসে পূরণ করা সম্ভব নয়। এরপর মূল ক্যাম্পাসে চারুকলাকে স্থানান্তরের জন্য আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলোকে যৌক্তিক বিবেচনায় দফায় দফায় আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১১ নভেম্বর এই অনুষদের শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এতে অধিকাংশ শিক্ষক শহরস্থ ক্যাম্পাসে থাকার মত পোষণ করেন।
১৬ ডিসেম্বর চারুকলা ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ক্যাম্পাস অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরাসহ অন্যান্য দাবি প্রসঙ্গে ছাত্র-শিক্ষক-প্রশাসন নিয়ে একটি কমিটি করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি এই কমিটি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আদায় গড়িমসি করসে।
এরপর ২০ নভেম্বর একজন সহকারী প্রক্টর, চারুকলা পরিচালক এবং ১২ শিক্ষককে প্রায় ১০ ঘণ্টার মতো অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের পেইন্টিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুর আল ফাহিম বলেন, 'চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি করা হয়। কিন্তু ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন অগ্রগতি আমরা দেখছি না। তারা বলছে ক্যাম্পাসে ফিরতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ লাগবে এইজন্য মাননীয় নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে আমরা আজ সড়কে অবস্থান নিয়েছি।'
চারুকলা ইনস্টিটিউটের এই অচল অবস্থা সম্পর্কে জানতে অনুষদের পরিচালক প্রণব মিত্র চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।