ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিক্ষিকাকে হেনস্তা, রাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রাবি প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২২

শিক্ষিকাকে হেনস্তা, রাবি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর নাম আশিক উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশিক উল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিকবার শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। আজ আইন বিভাগের ক্লাসরুমে শ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষিকা বেগম আসমা সিদ্দীকাকে হেনস্থা করার প্রেক্ষিতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনও দাবীর মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে, তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেটে রিপোর্ট সাপেক্ষে সামযয়িকভাবে বহিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর আগে, বুধবার সকালে অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা ৪র্থ বর্ষের ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, তাকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও হেনস্তা করে অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ। এক পর্যায়ে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এসময় অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ অফিসের ভিতরে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয় এবং তাকে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে বলে দাবি জানায়। এরপরে আবার তাকে বিভাগীয় অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষীতে তাকে ক্ষমার ঘোষণা দেন ভুক্তভোগী অধ্যাপক বেগম আসমা সিদ্দিকা।

এরপর প্রক্টরের তত্বাবধানে তাকে প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসা হয়। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং আশিক উল্লাহর বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষীতে দুপুরের দিকে প্রক্টর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানোর হলে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন থেকে সরে যায়।#

 

 
Electronic Paper